একদিকে ওয়েবসিরিজ় আবার সিনেমাও আসছে, অভিনেতারা কি এবার কিরণকে ভয় পাবে?
(প্রায় থামিয়ে দিয়ে হাসতে-হাসতে) যা করছি, সেটাকে অভিনয় বলা যায় কি না জানি না। নিজেকে অভিনেতা বলা যায় কি না, তা-ও জানি না। আমি আপাতত নিজেকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটার বলে সেফ সাইডে গোল দিতে চাই।
অন্যদিকের ডিফেন্সটা কি টের পাচ্ছেন?
(খানিক ভেবে) সিরিজ়ে অভিনয় করা নিয়ে তো খানিক খিল্লি হয়েছিল। তারপর ৪/৫ এপিসোডের পর থেকেই ব্যাপারটা সবাই পজ়িটিভ ভাবেই নিয়েছিল।
পেশাদার অভিনেতাদের সঙ্গে ‘কলকাতা চলন্তিকা’য় অভিনয়ের চাপ কতটা ছিল?
আমি যখন প্রথম দিন সেটে যাই, দেখলাম সবাই ক্যামেরা ঠিক করছে, কেউ লাইট ঠিক করছে… আমাকেও ওরা হেল্প করতে বললে আমিও গিয়ে করতে শুরু করে দিই। আমি তো এসব আগেই করে এসেছি। হঠাৎই পাভেলদা (পরিচালক) দেখতে পেয়ে ওদেরকে কী বকা। ওরা বুঝতেই পারেনি আমিও অভিনয় করতে এসেছি। পরে যদিও বারবার সরি বলেছে। ওদেরকে বুঝিয়ে বলি নিজের কন্টেন্ট বানানোর জন্য আমাকে নিজেকেই সব ক্যামেরা ঠিক করতে হয়।
একসময় অভিনেতাদের নিয়ে নানারকম ট্রোলের ভিডিয়ো বানিয়ে নিজেই অভিনয়ে, সমাপতন?
হ্যাঁ, কাজটা করতে এসে বুঝেছি অভিনয় বেশ কঠিন, অতটাও সোজা নয়।
কিরণ আর অভিনেতাদের নিয়ে মিম ভিডিয়ো বানাবে না?
না, না। একশোবার বানাবে। আমরা যখন ইউটিউব শুরু করি, তখন অনেক বাংলা ছবি দক্ষিণী ছবির টুকে হতো। অনেক গান চুরি করা হতো… কিন্তু আমরা এই সব ভিডিয়ো বানাবার পরেই কিন্তু এগুলো এখন অনেকটা বন্ধ হয়েছে। খিল্লি না করলেন পরিবর্তন আসবে না। সেই সমালোচনা যদি আমাকে নিয়েও হয় তাহলে আমার অসুবিধে নেই।
প্রথম ছবিতেই বিপরীতে দিতিপ্রিয়া, এই জেনারেশনের হার্টথ্রব…
(নাটকীয় ভাবে) দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে আমার একটা ‘পাস্ট’ (অতীত) জড়িয়ে আছে। আমি ওর গাওয়া ‘কলঙ্কিনী রাধা’ নিয়ে খিল্লি করে দিয়েছিলাম। সেই সময় সৃজিত মুখোপাধ্যায় আমায় খুব বকঝকা করেছিলেন। বলেছিলেন, “কেন, বাচ্চা মেয়েটার সঙ্গে তুই এমনটা করছিস?” এবং পরে যখন সৃজিতদার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, তখনও তিনি একই কথা আমায় বলেছিলেন।
খিল্লি থেকেই পর্দায় প্রেম!
হাহাহা… প্রথম যখন পাভেলদা আমায় বলল আমার বিপরীতে পাভেলদা আমি তো ভাবলাম বোধহয় মারামারি সিন-টিন হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। আসলে আমি তো মজা করার জন্য ভিডিয়ো বানাই। এমন তো নয় যে, তাঁর উপর রাগ রয়েছে। দেবদাকে নিয়ে খিল্লি করেছিলাম পরে ওর সঙ্গে ভিডিয়ো বানিয়েছি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একই ঘটনা। (ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে) শুধু একজনের সঙ্গেই আর করা হল না! (‘বং গাই’য়ের ইঙ্গিত কি অঙ্কুশের দিকে?)
দিতিপ্রিয়ার কী প্রতিক্রিয়া ছিল ‘খিল্লিম্যান’কে দেখে?
ব্যাপারটা বেশ মসৃণই ছিল, যেহেতু সিনেমায় আমরা একে-অপরকে ভালবাসি, তা-ই ওইটা যদি মাথায় রেখে দিতাম, তাহলে ভীষণ চাপ হয়ে যেত। খুব মিষ্টি মেয়ে ও।
রিল লাইফ তো বুঝলাম, রিয়েল লাইফের প্রেমটা আর কতদিন লুকিয়ে রাখবেন?
কিছুদিন আগেই এক কনটেন্ট ক্রিয়েটারকে দেখছিলাম প্রেমিকার সঙ্গে মাখোমাখো ছবি দিত, কিন্তু ঝামেলার পরেই দুজন দুজনকে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ সুযোগ খোঁজে কিছু একটা খুঁত বের করার। সেখানে আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন সবার সামনে এনে প্রিয় মানুষটাকে গালাগালি খাওয়ার সুযোগ কেন করে দেব? ব্যক্তিগত জীবন না হয় ব্যক্তিগতই থাক। যখন বলার ঠিক বলে দেব।