গালিগালাজে কড়া নিষেধ, তবু নিজেকে সামলাতে পারলেন না ইমন!
এরই মধ্যে ট্রোল তাঁর নিত্যসঙ্গী, যদিও ট্রোলকে কড়া হাতেই সামলান ইমন। মাস দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রাণ দেওয়ার ছবি পোস্ট করতেই তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছিল আক্রমণ। তার
বারণ করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু মন আর বারণ শুনল কই। না চাইতেও মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল গালি। কী ভাবছেন? ইমন চক্রবর্তীর ইনস্টা ঘুরে এলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে সবটা। হামি ছবিতে ভুটুর সেই বিখ্যাত ডায়লগের কথা মনে আছেন? যেখানে তাঁকে শিক্ষিকার ভূমিকায় অপরাজিতা আঢ্য গালাগালি দিতে বারণ করলেও শেষমুহূর্তে তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায় অতি নিরীহ তথাকথিত এক ‘খারাপ ভাষা’। ভুটু এও জানিয়েছিল সেই কথা না বলতে পারার জন্য তার পেট ‘কেমন যেন করছে’। নিছকই মজা। আর সেই মজাই দর্শকের সামনে তুলে ধরেছেন ইমন। রিল ভিডিয়োয় তিনি হয়ে গিয়েছেন ভুটু ভাইজান। গায়িকার এ হেন রূপ দেখে নেটিজেনরা হেসে গড়াগড়ি।
একদিকে রিল ভিডিয়ো, অন্যদিকে কাজ। দিন কয়েক আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় সুরারোপ করে প্রথম কাজ করলেন ইমন। নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি সেই অন্য রকম কম্পোজিশন শ্রোতার পছন্দ হয়েছে। নতুন এই গানের প্রসঙ্গে ইমন আগেই বলেছিলেন, “একটা ইউনিক কম্পোজিশন গাইলাম। পিন্টুদা, পিন্টু ঘটক অত্যন্ত গুণী মিউজিশিয়ান। আমাকে একদিন ফোন করে বললেন, অগ্নিভ একটা কম্পোজিশন ভেবেছে তোর জন্য। আমি তো প্রথমে শুনে ভেবেছিলাম, রবীন্দ্রনাথের কবিতাতে সুর, কী ভাবে পারব আমি জানি না। তারপর তো ভাল কাজ হয়েছে। এটা টিমওয়ার্ক। গৌতমদা রেকর্ড করেছেন। মিল্টনদা ভিডিয়োগ্রাফিতে রয়েছেন।”
View this post on Instagram
মুক্তি পেয়েছে তাঁর গলায় ‘ও আমার দেশের মাটি’। তবে এরই মাঝে প্রেমে বিরাম নেই। এ বছরই বিয়ে করেছেন গায়িকা। পাত্র নীলাঞ্জন ঘোষ। সম্প্রতি তাঁদের এক অন্তরঙ্গ মিষ্টি ছবি ভাইরাল হয়েছিল খুব। ছবিটিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের গা ঘেঁষে চলে যাচ্ছে মেঘ। মুখোমুখি দুটো খালি চেয়ার। তাঁরা চেয়ারে বসে নেই। বরং ওই দুই চেয়ারের মাঝে দাঁড়িয়ে যুগল। দাঁড়িয়ে দম্পতি। অর্থাৎ সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী এবং তাঁর স্বামী নীলাঞ্জন ঘোষ। একে অপরকে চুম্বন করছেন দুজনে। নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে জুটি বেঁধেও কিছু গান দর্শক, শ্রোতাকে উপহার দিচ্ছেন ইমন। গত পয়লা বৈশাখে ইমন-নীলাঞ্জনের কাজ ‘সৃজন ছন্দে’ দেখেছেন দর্শক। সেটাই ছিল বিয়ের পর দম্পতির প্রথম কাজ। এরপর বিশাল ভরদ্বাজের কম্পোজিশন, গুলজারের লেখা ‘পানি পানি রে’ রিঅ্যারেঞ্জ করে তৈরি করেছিলেন তাঁরা।
এরই মধ্যে ট্রোল তাঁর নিত্যসঙ্গী, যদিও ট্রোলকে কড়া হাতেই সামলান ইমন। মাস দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রাণ দেওয়ার ছবি পোস্ট করতেই তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছিল আক্রমণ। তার জবাবে ফেসবুকে একটি পোস্টে ইমন লিখেছিলেন, “এই যে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ‘ত্রাণ’ দেওয়ার ছবি ভিডিয়ো দেখে যাদের মনে হচ্ছে যে নিজের প্রচার করছি বা ভোটে দাঁড়ানোর কাজকর্ম শুরু করছি…বা যারা প্রত্যেক মুহূর্তে অশালীন কথা বলে চলেছেন তাদের একটা কথা বলি.. আপনাদের প্রত্যেকটা খারাপ কথা কিন্তু আমাকে এগিয়ে নিয়েই যাচ্ছে। আমি কিন্তু পিছিয়ে যাচ্ছি না। আর যাবও না। অনেক ধন্যবাদ যারা যারা আমার অ্যাডভার্টাইজ়মেন্ট দেখে ডোনেট করছেন…আপনাদের জন্য প্রায় তিন হাজার মানুষ খেতে পেয়েছেন, এক বেলা হলেও। ভাল রাখাটা একটা আর্ট। ওটা সবাই পারে না।”