MMS Scandal: সঙ্গমের ভিডিয়ো ফাঁস গায়িকার, তোলপাড় ভক্তমহলে, তিনি কী বললেন?
MMS Scandal: সঙ্গমের ভিডিয়ো ফাঁস নিয়ে মুখ খুললেন ভোজপুরি জনপ্রিয় গায়িকা শিল্পী রাজ। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিল্পার দাবি, সবটাই ইচ্ছাকৃত। তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা!
সঙ্গমের ভিডিয়ো ফাঁস নিয়ে মুখ খুললেন ভোজপুরি জনপ্রিয় গায়িকা শিল্পী রাজ। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিল্পার দাবি, সবটাই ইচ্ছাকৃত। তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা! তাঁর আরও বিস্ফোরক দাবি ভিডিয়োর সেই ব্যক্তি নাকি তিনি নন। একই সঙ্গে জানালেন, কান্নার অপর এক যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল তাও নাকি অনেক আগের। শিল্পীর এই কথা শুনে কার্যত অবাক ভক্তমহল। অনেকেরই মত, মিথ্যে বলছেন তিনি। আবার অনেকের ধারণা শিল্পীর বলা কথাই সঠিক। কী হয়েছে?
শিল্পী কে?
ভোজপুরি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি পরিচিত নাম। খেসরি লাল যাদব ও পবন সিংয়ের সঙ্গেও গান গেয়েছেন তিনি। তাঁর জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘বস কর পাগলি’, ‘দো ঘুট’ ইত্যাদি। বলিউডেও কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।
এমএমএস কাণ্ডের সূত্রপাত
দিন কয়েক আগে এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ভিডিয়োতে দেখা যায় দুই নারী-পুরুষ ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন। ভাইরাল হওয়া এমএমএসে আরও দেখা যায়, ভিডিয়োতে হাজির আরও এক তৃতীয় ব্যক্তি যিনি পুরুষ। উপস্থিত দুই পুরুষের মুখ আংশিক ঢাকা। তবে মহিলার সারা দেহেই কোনও আবরণ নেই। শিল্পী জনপ্রিয় শিল্পী। তাঁর মুখের সঙ্গে ভিডিয়োর মহিলার প্রায় সম্পূর্ণ মিল থাকায় নেটপাড়া সহজেই অনুমান করে ভাইরাল হওয়া মহিলা জনপ্রিয় গায়িকাই, শুরু হয় তীব্র সমালোচনা, চরিত্র নিয়ে কাঁটাছেঁড়া।
কান্নার ভিডিয়ো ভাইরাল
এর পরেই ভাইরাল হয় আরও এক ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যায় হাপুস নয়নে কাঁদছেন শিল্পী। ভিডিয়ো যাতে শেয়ার না করা হয় সেই আবেদনও বারংবার করতে দেখা যায় তাঁকে। ভক্তরাও আশ্বাস দেন, এমন কাজ তাঁরা করবেন না। যদিও ট্রোল কমেনি। উল্টে কুৎসিত মন্তব্যে ভরে যায় তাঁর সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য বাক্স।
‘আমায় বদনাম করা হচ্ছে’
এমএমএস কাণ্ড খানিক ফিকে হতেই টাইমস অব ইণ্ডিয়ার কাছে শিল্পী যা জানান, তা একেবারেই চমকে দেওয়ার মতো। তাঁর দাবি, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে তিনি নেই। তাঁকে বদনাম করার প্রয়াস চলছে। কে করছে এই প্রয়াস? তিনি কি কাউকে সন্দেহ করেন? উত্তরে গায়িকা বলেন, “না আমি কিছু জানি না। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে যখনই কেউ আগে এগতে চায় তখনই এই সব শুরু হয়ে যায়। মানুষ খারাপ বলতে শুরু করে দেয়।” তাহলে তাঁর কান্নার যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সেখানে এমএমএস শেয়ার না করতে বলেছিলেন কেন? এই প্রশ্নও করা হয় গায়িকাকে। গায়িকা বলেন, “ওই কান্নার ভিডিয়োটি এক বছর পুরনো। আমি অন্য একটি কারণে ওই ভিডিয়ো করেছিলাম। জানি না এমএমএস ভাইরাল হওয়ার পরেই কী কারণে ওই ভিডিয়োও ভাইরাল হতে শুরু করে দিল।” শিল্পী দাবি করেছেন ভিডিয়োতে তিনি নেই। তবু বিতর্ক যেন থামছেই না।
আরও পড়ুন- Bengali Serial TRP: সব ছাপিয়ে বেঙ্গল টপার ‘ধুলোকণা’, টিআরপি তালিকায় এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড!