Durga Puja 2021: পুজোর চার দিনই শুটিং থাকলে ভাল হতো: সোনামণি
টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে পুজোর খুঁটিনাটি শেয়ার করলেন মোহর ওরফে সোনামণি সাহা।
শহর সেজে উঠেছে। খবরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম চতুর্থী থেকেই নাকি মন্ডপে মন্ডপে ভিড়। আমি কিন্তু বাড়িতে বসে রয়েছি। এ সময়টা সবাই গ্রুপে গ্রুপে আড্ডা দেয়, ঠাকুর দেখে। আমার ওসব নেই। অগত্যা হোম সুইট হোম। ভাবছেন আমি কী বোরিং না? হাহা, আমি এমনটাই।
পুজোর প্ল্যান বিশ্বাস করুন, আমার পুজোতে কোনও প্ল্যান নেই। প্ল্যান যে হবে এমনটাও নয়। বাড়িতেই থাকব। কাল থেকে ছুটি পড়ছে আমাদের। মানে শুটিংও বন্ধ থাকবে। হাতে কিন্তু সময় রয়েছে অনেকটাই। কিন্তু ওই যে বললাম প্ল্যান নেই। এখন মনে হচ্ছে, কেন যে চার দিনই শুটিং থাকল না আমার। তাহলে অন্তত রাস্তায় বেরতাম। মানুষ দেখতাম। দেখতাম আলোর রোশনাই।
পুজোর কেনাকাটা পুজোর জন্য আলাদা করে কেনাকাটা এখন আর হয় না। একটা সময় হতো। এখন সারা বছরই এত জামা কাপড় কিনতে হয় যে আর দরকারও পড়ে না তেমন। এবারেও কেনাকাটা করিনি সেভাবে। মনে আছে ছোট বেলা পুজো এলে জামা গুণতাম। কটা জামা হল, কটা পরলাম। একবার তো কোনও এক পুজোতে ১৩-১৪ টাও পরে ফেলেছিলাম।
স্মৃতির পুজো ছোটবেলাটা কেটেছে মালদহতে। ওখানেই আমার বাড়ি। এখন যদিও বহুদিন কলকাতায় থাকা। পুজোর সময়টা সারাদিন ঘুরে বেড়াতাম। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। বাড়িতে কখনও কখনও ৫০ জন করেও চলে আসতেন। রান্নাবান্না হতো। বাড়িতেই কোনওদিন লুকিয়ে কোথাও যেতে হয়নি পুজোর সময়ে। বেশি দূর তো যেতাম না। তাই লুকোনোরও প্রশ্ন নেই।
পুজোর প্রেম প্রেম পুজোতে একেবারেই হয়নি। হবেই বা কী করে। বাড়ির সামনেই প্যান্ডেল। ওখানেই আড্ডা হচ্ছে। কোথাও তো সেভাবে বেরই হতাম না। বন্ধুদের সঙ্গে কাটত। সেই সব বন্ধুদের খুব মিস করি। কলকাতায় আসার পর অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ নেই সেভাবে। ওরা ভাবে এখন আমায় পাঁচটা মানুষ চেনেন তাই আমি হয়তো বদলে গিয়েছি। একেবারেই না, ওদের সঙ্গে দেখা হলে আজও বলতে চাই, ‘সোনামণি তোদের আজও মিস করে…’!