Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nawazuddin Siddiqui: ‘বর্ণবিদ্ধেষ বলিউডের বড় সমস্যা, আমি এর শিকার’, বিস্ফোরক নওয়াজ

Nawazuddin Siddiqui: নওয়াজের কথায়, “আমি বিশ্বাস করি কালো মেয়েরাও হিরোইন হওয়ার যোগ্য। আমি এটা নিয়ে বহুদিন ধরে লড়াই করছি। আমি বেঁটে, গায়ের রং কালো বলে বহুবার বাতিল হয়েছি।”

Nawazuddin Siddiqui: ‘বর্ণবিদ্ধেষ বলিউডের বড় সমস্যা, আমি এর শিকার’, বিস্ফোরক নওয়াজ
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2021 | 1:36 PM

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির নেপোটিজম নিয়ে বহু আলোচনা হয়। বহু সেলেব প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মুখও খুলেছেন। কিন্তু নেপোটিজম নয়, বরং বর্ণবিদ্বেষই নাকি বলিউডের বড় সমস্যা। অন্তত এমনটাই মনে করেন বলি অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তিনি নিজে নাকি বর্ণবাদের শিকার!

সম্প্রতি সুধীর মিশ্রর ‘সিরিয়াস মেন’-এ অভিনয়ের জন্য আন্তর্জাতিক এমি নমিনেশন পেয়েছেন নওয়াজ। এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পর এ কথা খুব স্পষ্ট ভাবে তিনি জানিয়েছেন, বর্ণবাদ তাঁকে বারবার সমস্যায় ফেলেছে। সুধীরের ছবিতে নওয়াজের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইন্দিরা তিওয়ারি। ইন্দিরার এই ছবিতে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই বলিউড এবং বর্ণবাদ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন নওয়াজ।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নওয়াজ বলেন, “সুধীর সাহেবের সিনেমা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান। ওঁর চিন্তা ভাবনাও আধুনিক, বাস্তবভিত্তিক। উনি ইন্দিরাকে নায়িকা হিসেবে কাস্ট করেছেন। আমি জানি, বলিউডে কতটা বর্ণবাদ রয়েছে। যদি ইন্দিরাকে আবার লিড রোলে কাস্ট করা হয় আমি খুব খুশি হব। সুধীর মিশ্র করেছেন। কিন্তু বাকি যাঁরা মাথায় বসে রয়েছেন, দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা কী করছেন? নেপোটিজমের থেকেও বর্ণবিদ্বেষের সমস্যা বলিউডে অনেক বেশি।”

নওয়াজ নিজে নাকি বহু বছর বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর কথায়, “আমি বিশ্বাস করি কালো মেয়েরাও হিরোইন হওয়ার যোগ্য। আমি এটা নিয়ে বহুদিন ধরে লড়াই করছি। আমি শুধু ত্বকের রং নিয়ে কথা বলছি না। ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু একচোখা ব্যাপার আছে, ভাল সিনেমা তৈরির স্বার্থে সেগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। আমি বেঁটে, গায়ের রং কালো বলে বহুবার বাতিল হয়েছি। আরও অনেক অভিনেতা রয়েছেন, যাঁরা এই সমস্যায় পড়েন।”

কয়েক মাস আগে নওয়াজের ব্যক্তি জীবনও ছিল চর্চায়। কারণ নওয়াজকে ডিভোর্স দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন তাঁর স্ত্রী আলিয়া। দশ বছরেরও বেশি সময়ের তাঁদের দাম্পত্যকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন এক লহমায়। শুধু তাই নয়, নওয়াজ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। এমনকী, ডিভোর্স কেস ফাইল করেছিলেন। অন্যদিকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন নওয়াজও। পরবর্তীকালে নওয়াজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নেন আলিয়া। এর প্রধান কারণ তাঁর স্বামীর ব্যবহার। প্যান্ডেমিক তাঁদের দু’জনের ভাঙা হৃদয় জোড়া লাগিয়েছে।

লকডাউনে সন্তানদের জন্য একসঙ্গে থাকতে হয়েছিল নওয়াজ-আলিয়াকে। তখনই দায়িত্ববান নওয়াজকে খুঁজে পেয়েছিলেন আলিয়া। স্বামীর পালটে যাওয়া ভাবমূর্তি দেখে নিজের সিদ্ধান্ত পালটেছেন তিনি। করোনা যে সব খারাপ করেনি, তা নওয়াজ ও আলিয়াকে দেখলেই বোঝা যায়!

আরও পড়ুন, Sreelekha Mitra: চোখে জল, মনখারাপের মুখ, সপ্তমীর সাজে ছবি শেয়ার শ্রীলেখার