Riddhi Bandyopadhyay: মাকে ছাড়া মন খারাপের পুজো ঋদ্ধির, তার মধ্যেই মুক্তি পেল নতুন গান

Riddhi Bandyopadhyay: ঋদ্ধি একা নন। তাঁর সঙ্গে গেয়েছেন তাঁরই আট জন ছাত্রী। দেবীপক্ষের সূচনায় গিরিরাজ হিমালয়কে উমা-মাতা মেনকা বলছেন- ‘যাও যাও গিরি আনিতে গৌরী’। অর্থাৎ মেয়ের বাপের বাড়ি আসার সময় হয়েছে আর বিলম্ব করো না। এ যেন সমস্ত বাঙালি মায়ের মনের কথা।

Riddhi Bandyopadhyay: মাকে ছাড়া মন খারাপের পুজো ঋদ্ধির, তার মধ্যেই মুক্তি পেল নতুন গান
ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 2:13 PM

মা আসছেন। পুজো আসছে। সারা বছরের অপেক্ষার শেষ। উৎসবে মেতে ওঠার সময়। কিন্তু এ বছর সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মন খারাপের পুজো। কয়েক দিন আগেই ঘর খালি করে মা চলে গিয়েছেন। মাকে হারিয়েছেন তিনি। তবুও মা দুর্গার আবাহন করলেন নিজের মতো করে। শিল্পীর কাছে শিল্পই তো আবাহনের অঞ্জলি। ঋদ্ধিও মহালয়ার দিন রিলিজ করলেন তাঁর এই বছরের পুজোর গান। ‘যাও যাও গিরি আনিতে গৌরী’।

ঋদ্ধি একা নন। তাঁর সঙ্গে গেয়েছেন তাঁরই আট জন ছাত্রী। দেবীপক্ষের সূচনায় গিরিরাজ হিমালয়কে উমা-মাতা মেনকা বলছেন- ‘যাও যাও গিরি আনিতে গৌরী’। অর্থাৎ মেয়ের বাপের বাড়ি আসার সময় হয়েছে আর বিলম্ব করো না। এ যেন সমস্ত বাঙালি মায়ের মনের কথা। দাশরথি রায়ের সেই চিরন্তনী গান নিয়েই এ বারের ঋদ্ধির উপস্থাপনা।

এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে ঋদ্ধি বললেন, “মহালায়ার দিন ইউটিউবে রিলিজ হয়েছে। প্রত্যেকবারই তো একক বেরোয়। এ বছর ছাত্র ছাত্রীরা বলল আগমনী গাইতে চায়। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সামনে আনার আগ্রহ আমার বরাবর থাকে। পুরাতনী সুর অক্ষুণ্ণ রেখে মর্ডান মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে। প্রেজন্টেশনে নতুনত্ব আছে। যারা গেয়েছে, প্রত্যেকেই ভাল গায়। ইন্ডিভিজুয়াল শিল্পী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে সকলের।”

পুজো আসছে বটে। গানও মুক্তি পেল। কিন্তু ঋদ্ধির মন খারাপ। তিনি বললেন, “চারিদিকেই মায়ের স্মৃতি। ছোট ছোট পরিবার তো এখন। স্মৃতিগুলো আরও বেশি জড়িয়ে আছে। মা কাজের মানুষ ছিলেন। দুটো পরিবারকে এক করে রেখেছিলেন। সেই জায়গাটা পুরো ফাঁকা। আমি কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকছি। আমি আজ যে জায়গাতে তার ৮০ শতাংশ মায়ের অবদান। মা না থাকলে এই জায়গাটা থাকতামই না। মায়ের অনবরত প্রেরণা ছিল। হেডমিস্ট্রেস ছিলেন। সারাদিন স্কুল করার পর আমাকে নিয়ে গিয়ে গান শেখানো। সবার বাবা, মা সবার কাছে প্রিয়। কোনও কোনও বাবা, মা থাকেন তাঁরা বটবৃক্ষের মতো সন্তানকে আগলে রাখেন। আঁচ লাগতে দেন না। আমার মা তেমনই ছিলেন। মা যখন ছিলেন তখন মায়ের কথা অনেক বেশি লিখতাম। বাবা কম ভোকাল। কলেজে পড়াতেন। নিজের মতো থাকতেন। বাবা আমার কাছেই আছেন এখন।”

ঋদ্ধি বিশ্বাস করেন, কোথাও মা তাঁর সঙ্গেই আছেন। তাই মন খারাপ ভুলতে নিজেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছেন। রেকর্ডিং করছেন। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন। মা দুর্গার বাপের বাড়ি আসার সময়ে নিজের মাকে আরও বেশি করে মনে পড়ছে তাঁর।

আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: সাত বছর বয়সে দ্বিতীয় অরিজিনাল ‘মা যে এল’ গেয়ে ফেলল তানি-মুনি