AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জিয়া খানের রহস্য-মৃত্যু নিয়ে প্রকাশ্যে তথ্যচিত্র, উঠে এল নানা অজানা তথ্য

মৃত্যুর ঠিক পনেরো মিনিট আগে সিসিটিভিতে যে ট্র্যাকসুট পরে জিয়াকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল সেই ট্র্যাকসুট কেন খুঁজে পেল না পুলিশ?

জিয়া খানের রহস্য-মৃত্যু নিয়ে প্রকাশ্যে তথ্যচিত্র, উঠে এল নানা অজানা তথ্য
জিয়া খান।
| Updated on: Jan 13, 2021 | 2:06 PM
Share

মৃত্যুর ঠিক পনেরো মিনিট আগে সিসিটিভিতে যে ট্র্যাকসুট পরে জিয়াকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল সেই ট্র্যাকসুট কেন খুঁজে পেল না পুলিশ? জিয়া তাঁর সুইসাইড নোটে সুরজ পঞ্চালীকে দোষী সাব্যস্ত করলেও কেন সাজা পেলেন না তিনি? এ রকম আরও অনেক ‘কেন’র উত্তর নিয়েই প্রকাশ্যে তথ্যচিত্র ‘ডেথ ইন বলিউড’।

৩ জুন, ২০১৩। মাত্র ২৫ বছর বয়সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন সে সময় বলিউডের অন্যতম উজ্জ্বল নবাগতা অভিনেত্রী জিয়া খান। তাঁর মৃত্যু নিয়ে সে সময় কম জলঘোলা হয়নি। জিয়া তাঁর দীর্ঘ সুইসাইড নোটে আঙুল তুলেছিলেন পরিচালক আদিত্য পাঞ্চোলীর ছেলে সুরজ পাঞ্চোলীর উপর। বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগ থেকে শুরু করে, মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন… সুইসাইড নোটের পরতে পরতে ছিল একরাশ অভিমান, অভিযোগ।

এ বার জিয়ার মৃত্যুর প্রায় আট বছর পর জিয়া এবং তাঁকে ঘিরে থাকা নানা রহস্য নিয়ে প্রথম বার রিসার্চধর্মী তথ্যচিত্র বানাল ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন ওরফে বিবিসি। তিন পর্বের এই তথ্যচিত্রের ইতিমধ্যেই প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব উল্লিখিত চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়েছে। আজ শেষ পর্বটি সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। যদিও ভারতীয় নাগরিকরা এখনই এই তথ্যচিত্র দেখতে পারবেন না।

যদিও ভারতের বাইরে ইতিমধ্যেই তথ্যচিত্রটির প্রথম দুই পর্ব দেখে ফেলেছেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে এক নেটিজেনের বক্তব্য, “জিয়া আত্মহত্যা করেননি। জিয়াকে খুন করা হয়েছে।” লেখক আজাদ নাজির আবার জিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যুর। তাঁর কথায়, “হৃদয় বিদারক। অনেক মিল পাওয়া গেল সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে”।

জিয়ার মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর মা রাবেয়া খান বারেবারেই দাবি করেছিলেন তাঁর মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের অনুসন্ধান দাবি করেছিল জিয়ার মৃত্যু আত্মহত্যাই। জিয়ার ঠোটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সিবিআই জানিয়েছিল, গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর সময় দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরেছিলেন জিয়া। আর তারই ফল ওই জমাট বাঁধা কালো দাগ।