অমিতই আমার ছেলেকে এসে বলল আমরা বিয়ের কথা ভাবছি: দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়

ভেঙে ফেলেছেন সোশ্যাল ট্যাবু। পাত্তা দেননি ট্রোলকে।মলমাসের বিয়ে না করার রীতিও হার মেনেছে ভালবাসার কাছে। দিদির চওড়া সিঁথিতে রাঙা সিঁদুর দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন বোন শুভশ্রী। যদিও এরই মাঝে সঙ্গী হয়েছে ট্রোলও। ছেলে অনীশ কী বলছে? আর বর অমিত ভাটিয়া? মুখ খুললেন দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয় বিয়ে এবং ট্যাবু ভাঙার গল্প নিয়ে অকপট তিনি।শুনল টিভিনাইন বাংলা...

অমিতই আমার ছেলেকে এসে বলল আমরা বিয়ের কথা ভাবছি: দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়
বিয়ের পিঁড়িতে দেবশ্রী।
Follow Us:
| Updated on: Apr 03, 2021 | 11:23 PM

বর্ধমান থেকে ফিরেছেন?

দেবশ্রী: না। আজই (শনিবার) ফিরব ভেবেছিলাম। বাবা-মা আসতেই দিল না। বলল আর একটা দিন থেকে যা। সে জন্যই আমার আর ফেরা হল না। কাল ফিরব…

সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই এখন দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের বিয়ের ছবি…

দেবশ্রী: হাসি) আসলে হঠাৎ করেই সবকিছু। চারিদিকে এমনি ভোটের জন্য সরগরম। সবাই দেখছি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। আমার মনে হল একটু অন্যরকম কিছু করি। তাই বিয়ে করে নিলাম। বিশ্বাস করবেন না, মাত্র ২৮ দিনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এত অল্প পরিচয়ে বিয়ে?

দেবশ্রী: না পরিচয় তো সাত বছরের। আমরা তো খুব ভাল বন্ধু…

২৮ দিনে কী এমন হল যে ভাল বন্ধু বর হয়ে গেল?

দেবশ্রী: (আবারও হাসি) ২৮ দিনে নয় ভালবাসাটা অনেক দিনের। প্রেমটা ২৮ দিনের। আমরা আসলে পার্টনারস ইন ক্রাইম। দু’জন দু’জনকে এত ভাল চিনি…

প্রপোজ কে করেছিলেন প্রথমে?

ওই করেছিল। কী বলেছিল তা বরং ওকেই জিজ্ঞাসা করুন… (বলেই অমিতকে ফোন এগিয়ে দেন দেবশ্রী)

অমিত: দু’জনের মধ্যেই অনুভূতিটা ছিল। দু’জনের জীবনে অন্য মানুষ ছিল কোনও না কোনও সময়ে তাই বলা হয়ে ওঠেনি। মনের মধ্যে ছিল পুরোটাই। সেটাই ওকে বলে দিলাম। উত্তর এল, আমিও এটার জন্য অনেকদিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম।

দেবশ্রী: ২৮ দিন আগে আমরা সব বন্ধুরা মিলে মানালি গিয়েছিলাম রোড ট্রিপে, ওখানেই ও প্রপোজ করে। একেবারে সরাসরি এসে জানিয়ে দেয় ভালবাসার কথা।

View this post on Instagram

A post shared by Aneesh (@cheeyaaraneesh)

(অমিতকে প্রশ্ন) রিজেক্ট হওয়ার ভয় হয়নি?

অমিত: একেবারেই নয়। কারণ ওকে অনেকটাই চিনি। মনে হচ্ছিল ও নিজেও ভাবছে যে কবে বলবে। আর যদি প্রেমের দিক দিয়ে রিজেক্ট হতামও বন্ধুত্বটা তো থেকে যেত।

বড় শালির বিয়ে, অথচ রাজ অনুপস্থিত!

দেবশ্রী: হ্যাঁ। কী করে আসবে। ওর এখন যা বিজি শিডিউল। তবে শুভ এসেছিল তো। ছেলে কলকাতায় ছিল। ও গতকাল এসে ভীষণ মজা করেছে। দেখুন, এত চিৎকার করেছি, আমার নিজের গলারও অবস্থা খারাপ। (হাসি)

শুভশ্রী কী বললেন?

দেবশ্রী: ও তো মারাত্মক খুশি। কাল সারাদিন ভীষণ এনজয় করেছে। যখন সিঁদুরদান হল শুভ দেখি কাঁদছে।

আর আপনার সন্তান অনীশ?

দেবশ্রী: অনীশও মারাত্মক খুশি। ইনস্টাগ্রামে আমার আর অমিতের বিয়ের ছবি শেয়ার করেছে ও। ওর পোস্টটা দেখে চোখে জল চলে এসেছিল। কবে যে এত বড় হয়ে গেল ও…

আপনার স্বামীর সঙ্গেও বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে ভালই…

দেবশ্রী: অনীশ অমিতকে চেনে সেই ছোট্টবেলা থেকে। আমরা যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। অমিত সে কথা প্রথম আমার ছেলেকে জানিয়েছিল। কারণ আমাদের দু’জনের কাছেই ওর মতামতটা প্রয়োজনীয় ছিল।

তারপর?

দেবশ্রী: অনীশ শুনে লাফিয়ে উঠে বলেছিল, ‘ইউ শুড’। ওর এই অ্যাকসেপটেন্সের জন্যই এত সহজে সিদ্ধান্তটা নিতে পেরেছিলাম।

কোথাও গিয়ে কি মনে হচ্ছে না একটু তাড়াহুড়ো হয়ে গেল?

দেবশ্রী: অমিতই বলল, ভাল যখন বাসি আর দেরি করে লাভ নেই। অগত্যা…

কলকাতায় সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা রয়েছে?

দেবশ্রী: হ্যাঁ আগামী ২৪ তারিখ। ২২ তারিখ রাজের কেন্দ্রে নির্বাচন। তারপর ও একটু ফ্রি হবে। তখনই হবে বাকি সেলিব্রেশন।