
তাহলে শেষমেশ, আড়ি ছেড়ে ভাব! শেষমেশ তিক্ততা মুছে গিয়ে মিঠে হল সম্পর্ক! হ্যাঁ, রবিবার ফেডারেশনের উৎকর্ষ সম্মানের মঞ্চে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা নিয়ে টলিপাড়ায় এখন এমনই রব। আর এই ঘটনা বা মিলনের নেপথ্যে যিনি ছিলেন, তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স এন্ড ওয়ারকার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। ভাবছেন কী আবার কাণ্ড হল? বিষয়টা খোলসা করে বলা যাক।
২০২৪ সালের পুজোয় মুক্তি পায় দেবের ছবি ‘টেক্কা’। আর উলটো দিকে বক্স অফিসে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ‘বহুরূপী’। পুজোর বক্স অফিসে এই দুই ছবির লড়াই ছিল দেখার মতো। কিন্তু সেই লড়াই শুধুই বক্স অফিসে ছিল না, লড়াই চলল দুই দলের ফ্যান ক্লাবের মধ্যে। সোশাল মিডিয়া উত্তাল, ভক্তদের মধ্যে লাগাতার কাদা ছোড়াছুড়ি। কিন্তু হঠাৎই দেবের অনুরাগীদের একাংশ লড়াইয়ে জিততে হাতিয়ার করে কুরুচিকর মন্তব্য, টার্গেটে শিবপ্রসাদের স্ত্রী জিনিয়া সেন। ব্যস, গোটা লড়াই পাবলিক থেকে হয়ে যায় পারসোনাল। এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন জিনিয়া। তবে এত কিছু ঘটলেও, গোটা কাণ্ডে দেব ছিলেন চুপ। আর সেই থেকেই নীরবে তিক্ততা শুরু।
সময় এগোলেও তিক্ততা কমল না, উলটে বাড়ল চলতি বছরের পুজোতে। এবারও পুজোর বক্স অফিসে মুখোমুখি দেবের রঘুডাকাত ও উল্টো দিকে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির রক্তবীজ টু। এবারও সোশাল মিডিয়ায় ভক্তদের টানাটানি। ২০২৪-এর চিত্রই যেন ফিরে পাওয়া। কিন্তু রবিবার যেন এই লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটল স্বরূপ বিশ্বাসের হাতে, ফেডারেশনের মঞ্চে। স্বরূপ বিশ্বাসের আমন্ত্রণে পাশাপাশি এসে দাঁড়ালেন দেব-শিবপ্রসাদ। হাত মেলালেন। চলল আলিঙ্গন পর্বও। এক গাল হেসে তিক্ততাতে যেন দূর ছাই করে দিলেন দুজনে!
মঞ্চ থেকে নেমে দেব স্পষ্ট জানালেন, ”শিবু এবং নন্দিতাদি যে যে ছবি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে, বাংলা ছবিপ্রেমীদের উপহার দিয়েছে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। আমি শিবু আর নন্দিতাদির মতো গুণী নই। ওঁরা গুণী পরিচালক, লেখক। আমি তো সেরকম কিছু পাইনি বলে নিজে প্রযোজক হয়েছি। ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার হয়েছি।” এখানেই থামেননি দেব। টলিউড মেগাস্টারের কথায়, লড়াইটা কার জায়গা কত বড়, তা নিয়ে নয়। বরং লড়াইটা বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে কত বড় করা যাবে তা নিয়েই।