
দেব-শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের শেষ ছবি ‘ধূমকেতু’ নিয়ে দর্শক মনে বরাবরই উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। এই জুটির অনুরাগীরা সুযোগ পেলেই প্রশ্ন তুলতেন, ‘কবে মুক্তি পেতে চলেছে ধূমকেতু’। যদিও তার সঠিক উত্তর এতদিন কারও কাছেই ছিল না। কোনও এক রিয়্যালিটি শোয়ে এসে কখনও শুভশ্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, ছবি মুক্তি নিয়ে, কখনও দেবও অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গ তুলে আক্ষেপ করতেন। তবে অবশেষে কাটল জটিলতার সকল মেঘ। হাসি ফিরল টলিপাড়ার দর্শকদের মুখে। রানা সরকার প্রযোজিত এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে ১৪ অগাস্ট, ২০২৫। ২৩ মে দেবের প্রযোজনা সংস্থা থেকে এই খবর প্রকাশ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়। ২২ মে থেকেই ‘ধূমকেতু’ জ্বরে কাবু ছিলেন সকলে। নেপথ্যে রানা সরকারের একটি পোস্ট, যা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছিল জল্পনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে রানা সরকার লিখেছিলেন, ‘ধূমকেতু নিয়ে অঙ্ক কষার দিন কি শেষ ? ধূমকেতু রিলিজের আগে অঙ্ক কি কঠিন রিলিজ হচ্ছে কাল। ধূমকেতুর অঙ্ক সহজ হবে যদি সবাই সিনেমা হলে গিয়ে অঙ্ক কি কঠিন সিনেমাটা দেখেন। শেষ ভালো যার, সব ভাল তার।’
দেব ও শুভশ্রী গাঙ্গুলী অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধূমকেতু’ এতদিন পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহের মুখ দেখেনি। অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন সকলে। ২০১৬ সালে ছবির শুটিং সম্পূর্ণ হলেও, নানা আইনি জটিলতা ও প্রযোজক সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মুক্তি আটকে ছিল। যা নিয়ে একাধিকবার দেবও মুখ খুলেছিলেন। কিছু শ্রেণির ধারণা ছিল দেব-শুভশ্রীর সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হওয়ার কারণেই এই ছবির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়। যদিও সেটা আসল কারণ ছিল না। সূত্র অনুযায়ী, ছবিটির প্রযোজনা সংস্থার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও অর্থনৈতিক জটিলতা ছিল মূল সমস্যার কারণ। ছবির সঙ্গে যুক্ত বেশ কর্মীর পারিশ্রমিক আটকে ছিল দীর্ঘদিন। তাঁদের সঙ্গে কথাও হয়েছিল দেবের। দেব নিজেও একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছবিটি নিয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, তিনি দাবি করেন, তাঁর কেরিয়ারে অন্যতম কাজ ‘ধূমকেতু’। তিনিও চান দর্শকদের কাছে এই ছবি পৌঁছিয়ে যাক। অবশেষে সেই সকল জটিলতা কেটে এখন তা দেবের প্রযোজনা সংস্থা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ‘অঙ্ক কি কঠিন’ ছবি মুক্তির দিনই কোনও এক সুখবর আসতে চলেছে, সে ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। টলিপাড়ার আনাচে-কানাচে সুখবর ছড়িয়ে পড়তেও শুরু করেছিল। জানা গিয়েছিল অবশেষে এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। সেই খবরেই সিলমোহর দিলেন নায়কের প্রযোজনা সংস্থা। একবার এক সাক্ষাৎকারে দেব নিজেই জানিয়েছিলেন, “এই ছবি মুক্তি পেলে তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।” যেমন কথা তেমন কাজ। এবার শুধু ছবি মুক্তির অপেক্ষা। ২০১৬ সালে এই ছবির শুট শেষ হয়েছিল। তারপর ৯ বছরের অপেক্ষার অবসান।