
দর্শক বলছে, ধুরন্দর ছবি মোটেই রণবীর সিংয়ের ছবি নয়, বরং রণবীরকে ছাপিয়ে এই ছবি একেবারেই রহমান ডাকাত ওরফে অক্ষয় খান্নার। পাকিস্তানের দাপুটে গ্যাংস্টার চরিত্রে তাঁর আদব-কায়দায় আপাতত বুঁদ সিনেপ্রেমীরা। সোশাল মিডিয়ায় ধুরন্দর ছবির নানা দৃশ্যের ঝলক শেয়ার করে নেটিজেনরা অক্ষয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যে অভিনেতা এতদিন অল্প সংখ্যক ছবিতে সুযোগ পাচ্ছিলেন, নানা ছবিতে টুকটাক অভিনয় করছিলেন, সেই অভিনেতারই রিয়্যাল কামব্য়াক ধুরন্দর। অক্ষয় যে কতটা প্রতিভাবান অভিনেতা, তার প্রমাণ প্রতিটি দৃশ্যে তিনি দিয়েছেন। কিন্তু একসময় এই অভিনেতাকেই বলিউড ব্রাত্য করে রেখেছিল।
তথ্য বলছে, ‘ধুরন্দর’ ছবির জন্য ৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন রণবীর সিং। অন্যদিকে, অক্ষয় খান্নার পারিশ্রমিকের অঙ্কটা অনেকটাই কম। অক্ষয় খান্না প্রতিটি ছবির জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়ে থাকেন, আড়াই কোটি টাকা। এই মুহূর্তে ঝুলিতে তাঁর প্রায় ছবি নেই বলে চলে।
তবে সম্পত্তির খতিয়ানে বলিউডের অন্যান্য অভিনেতাদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই অক্ষয়। অভিনেতা যে বিলাসবহুল বাংলোটিতে থাকেন, তাঁর মূল্য ৩৫ কোটি। আরেকটি বাড়ি রয়েছে আলিবাগে। সপ্তাহ শেষে সেখানে মাঝে মধ্যে ঘুরতে যান অক্ষয়। সেন্ট্রাল মুম্বইতেও রয়েছে আরেকটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। আরও দুটি বাড়ি রয়েছে পুনে ও দিল্লিতে। রয়েছে মাত্র ২টি গাড়ি। দুটিই বিএম ডব্লু। তথ্য বলছে, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ একশো কোটি টাকা।
১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় অক্ষয়ের প্রথম ছবি হিমালপুত্র। বিনোদ খান্না পুত্র অক্ষয়, প্রথম ছবিতে নজর কাড়লেও, এই ছবি ডাহা ফ্লপ। এরপর বেশ কিছু রোমান্টিক ছবিতে নিজের ভাগ্যকে পরখ করেছিলেন অক্ষয়। যেমন, ডোলি সাজানে রখনা, দহক-এর মতো ছবি। তবে সেই ছবিগুলোও ফ্লপ হতে থাকে। এরই মাঝে ‘বর্ডার’ ছবির জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন অক্ষয়। তারপর ২০০১ সালে অক্ষয়ের পটপরিবর্তন। দিল চাহতা হ্যায়, রেস, ছবিতে তাঁর অভিনয় ছিল দেখার মতো। কিন্তু এই সময়ই ঘটে যায়, আরেক ঘটনা। ক্রমশ অক্ষয়ের মাথা থেকে খালি হতে থাকে চুল। এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় জানিয়েছেন, অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন অক্ষয়। প্রায় ৬ বছর সব কিছুর থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। পরে নিজেকে সামলে, ‘টাক’ মাথাতেই ফিরে আসেন অভিনয়ে। সেকসন ৩৭৫, দৃশ্যম ছবিতে দুরন্ত পারফরম্য়ান্সে অক্ষয় বুঝিয়ে দেন, তাঁর অভিনয় ক্ষমতা, তাঁর লুককে ছাপিয়ে যেতে পারে। আর ধুরন্দর ছবিতে যেন সেটাই হল। নকল চুল পরেও, অক্ষয় বুঝিয়ে দিলেন, সিনেমার পর্দাকে হাতের মুঠোয় ভরতে, তাঁর অভিনয়ই যথেষ্ট।