
যীশু সেনগুপ্ত। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেই তারকা যাঁকে প্রথমে ‘শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু’র চরিত্র দেখেছিল গোটা বাংলা। পরবর্তীকালে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে ব্রাত্য রেখেছিল টানা ৭ বছর। চৈতন্য মহাপ্রভুতে অভিনয় করার পর বেশ কিছু বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে নায়কের চরিত্র দেখা গিয়েছিল যীশুকে। তারপর প্রত্যাবর্তন ঘটে সাত বছর পর। সকলকে চমকে দিলেন যীশু। এমনিতেই যীশুর ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যা কম নয়। প্রচুর মহিলা আজও তাঁকে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। তবে যীশু নাকি কারওর প্রস্তাবই গ্রহণ করেন না। যীশুর জীবনে বেশকিছু চমক রয়েছে। তাঁর নাম যে যীশু, এটার পিছনেও রয়েছে একটি অজানা রহস্য।
সেটা কি? যীশু হল অভিনেতার ডাকনাম। যীশুর ভাল নাম বিশ্বরূপ। এই বিশ্বরূপ কৃষ্ণের ১০৮-এর এক নাম। যীশুর ক্ষেত্রে কৃষ্ণে এবং খ্রিস্টে কোনও তফাৎ হয়নি। একদিকে তাঁর নাম যেমন যীশু, অন্যদিকে তাঁর নাম বিশ্বরূপও। অনেকগুলো বছর ধরে এই বিশ্বরূপ নামটাই যীশু ব্যবহার করেছিলেন তাঁর সমস্ত সরকারী নথিতে। এমনকী, স্কুলের বন্ধুরাও তাঁকে বিশ্বরূপ নামেই ডাকেন। অভিনয় করতে এসে বিশ্বরূপ থেকে যিশুতে রূপান্তরিত হলেন অভিনেতা।
তারপর যীশু এফিডেভিড করে পাল্টালেন তাঁর নথির নামও। এখন পাসপোর্ট থেকে শুরু করে আধার-কার্ড, প্যান-কার্ড সব জায়গাতেই তাঁর নাম রয়েছে বিশ্বরূপই।