
অমিতাভ বচ্চন। ৮১ বছর বয়স তাঁর। এই বয়সেও দাপিয়ে কাজ করে বেড়াচ্ছেন শাহেনশাহ। বিষয়টি সঞ্জয় পাটোদিয়া এবং তাঁর পরিবারের কাছে দারুণ রোমাঞ্চকর। বন্ডেল রোডের এই বাড়িতে ঢুকলেই নীচ তলায় দেখা যায় প্রত্যেকটি দেওয়ালে টাঙানো অমিতাভের বিরাট-বিরাট ছবি। একটি ঘরে বিরাট একটি সিংহাসনে রয়েছে অমিতাভের বিরাট মূর্তি। নীল রঙের স্যুট-প্যান্ট পরা সেই মূর্তিতে পরানো মালা। তাঁর চারপাশে রয়েছে পুজোর সামগ্রী, লম্বা প্রদীপ, কাসর, ঘণ্টা। প্রতিদিন তিন বেলা অমিতাভকে নিজের হাতে পুজো করেন সঞ্জয়বাবু। অমিতাভের জন্মদিনের সেখানে উৎসব হয়। পুজোর পাশাপাশি সমাজ সেবার কাজও করেন সঞ্জয়বাবু।
TV9 বাংলাকে সঞ্জয় বলেছেন, “জানেন তো, আমাদের ঈশ্বর অমিতাভ বচ্চন মনে করেন, জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। অর্থাৎ, জীব সেবার মধ্যেই যে শিব সেবা, বিশ্বাস করি আমরা। অমিতজির প্রত্যেক জন্মদিনে গরিব মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। তাঁদের হাতে তুলে দিই কিছু সাহায্য। এটা অমিতাভ বচ্চনেরই দেখানো পথ। সেই পথেই চলছি আমরা।”
এই সেই অমিতাভের ধাম।
অমিতাভ কি জানেন তাঁর এই ভক্তের কথা? জানেন। সঞ্জয় পটোদিয়া বলেছেন, “আমি মুম্বইয়ে গিয়ে বহুবার দেখা করে এসেছি অমিতজির সঙ্গে। তিনি আমাদের দেখতে পেয়ে খুবই খুশি হন। আমার ছেলে এবং মেয়ের নামকরণও করেছিলেন তিনি। তবে একটা কথা তিনি বারবারই বলেন, “আমার জয় গান করবে না। তোমরা যদি অভাবীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াও, তাতেই আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হব।”