অনেক বড় হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট্ট ছেলেটা। এই ছেলেকে ঘিরেই ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর জীবন কেটেছে এতদিন। নিজেকে যদিও স্ত্রী এবং মা হিসেবে দশে ‘শূন্য’ দিয়েছেন রচনা। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির লোকজন জানেন, রচনা ঠিক কতখানি যত্নশীল মা। মেকআপ রুমে একটি বোরখা ঝুলিয়ে রাখেন রচনা। সেই বোরখা পরে মেট্রো করে ছেলের কাছে পৌঁছে যেতেন নিয়মিত। গিয়েই তাকে পড়তে বসাতেন। রচনা পরিচিত তারকা, তায় বিরাটমাপের ভক্ত সংখ্যা নিয়ে চলেন। মেট্রোতে হঠাৎ রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দেখলে, কী কাণ্ড ঘটতে পারে, সেই আশঙ্কাতেই বোরখায় নিজেকে ঢেকে ফেলতেন আপাদমস্তক। যে ছেলের জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করতেও কুণ্ঠিত ছিলেন না রচনা, সেই ছেলের নাকি এখন মায়ের জন্য সময়ই নেই। সে বড় হয়ে গিয়েছে অনেক। বন্ধু-বান্ধব পরিবেষ্ঠিত হয়েছে তাঁর জীবন। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর সঞ্চালনা করতে-করতে এমন কথাই এক অভিনেত্রীকে বলে ফেলেছেন রচনা। জানিয়েছেন, ছেলের ছোটবেলাকে ভারী মিস করেন তিনি। ছেলে বড় হয়ে গিয়েছে বলে আক্ষেপ রয়েছে রচনার মনে। ছেলের দুরন্তপনা, দুষ্টুমি–সবটাই মনে পড়ে রচনার…
ছেলের সময় না থাকলেও, রচনা কিন্তু তাঁকে বেশ কড়া শাসনেই রাখেন। নিজে দিনরাত ব্যস্ত থাকলেও, ছেলের জন্য থাকে অভিনেত্রীর কড়া রুটিন। অনুশাসনের বাইরে পা রাখতে দেন না ছেলেকে। তাঁর প্রত্যেকটি পদক্ষেপ মাপতে থাকেন। তিনি নিজেও খানিকটা সেই অনুশাসনেই বড় হয়েছেন ছোটবেলায়। বাবার আদরের কন্যা অবাধ্য এক্কেবারেই ছিলেন না নাকি। বারংবার সেই কথা নিজেই জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে।
সংসার, সন্তান, কাজ, ব্যবসা এবং সঞ্চালনা– সবকিছু সামলাচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে নেমে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছেন হুগলীর তৃণমূল প্রার্থী হয়ে। বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন অপরপক্ষের বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। এই জয়ের পর হুগলীর মানুষের কাছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন রচনা।