১২ জুলাই বিয়ে করেছেন আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি। তিনি বিয়ে করেছেন দীর্ঘদিনের প্রেমিকা রাধিকা মার্চেন্টকে। সেই বিয়ের ভিডিয়ো এবং ছবি বিপুলভাবে ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামীরা আমন্ত্রিত ছিলেন সেই বিয়েতে। বাংলা থেকেও গিয়েছিলেন তারকারা। কিন্তু সেই বিয়েতে দেখা যায়নি একজনকে। তিনি বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। আমন্ত্রণ পেয়েও কেন তাক লাগানো বিয়েবাড়িতে গেলেন না তাপসী? এর ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন দুনিয়াবাসীকে। ভাবার মতো বিষয়!
কেবল অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নন, গোটা বিশ্বের নামী সঙ্গীত শিল্পী, ব্যবসায়ী, এমনকী রাজনীতিকরাও গিয়েছিলেন আম্বানিদের বিয়েতে। গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু যাননি তাপসী পান্নু।
এক সাক্ষাৎকারে আম্বানিদের বিয়েতে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তাপসী। তিনি বলেছেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে আম্বানিদের কাউকেই চিনি না। আমার মনে হয়, বিয়ের অনুষ্ঠান খুবই ব্যক্তিগত একটা বিষয়। হয়তো আম্বানিদের অনেক বন্ধু-বান্ধব আছেন। কিন্তু আমি এমন বিয়েবাড়িতে যেতেই পছন্দ করি, যেখানে আমি তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও জানি। অন্তত পরিবারের কারও সঙ্গে আমার আলাপ আছে।”
তাপসীর এই মন্তব্য শিরোনাম দখল করে নিচ্ছে। নেটমহলে তা ভাইরাল হয়েছে। নেটিজ়েনরা মতামত দিতে শুরু করেছেন। এক নেট ব্যবহারকারী লিখেছেন, “অনেকেই আছেন, যাঁরা এমন বিয়েবাড়িতে যেতে পছন্দ করেন না, যেখানে তাঁর সঙ্গে পরিবারের লোকজনের আলাপ নেই। আম্বানিদের বিয়েতে যাওয়া মানেই নিজের হাজিরা দেওয়া। লাইমলাইটে আসা। আম্বানিদের সুনজরে থাকা। এটা কেবলই নেটওয়ার্কিং। এছাড়া কিছুই নয়। অনেকটা অফিস পার্টিতে যাওয়ার মতো বিষয়টা।”
তাপসীর এই উত্তর শুনে অনেকে তাঁকে ট্রোলও করেছেন। নিন্দুকদের ধারণা তৈরি হয়েছে, বিয়েবাড়ির আমন্ত্রণ পাননি বলেই তাপসী এখন যা তা কথা বলে নিজের দর বাড়াচ্ছেন। তাঁরা লিখেছেন, “বলেই দিন আপনাকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। এমন তো হতেই পারে। এটা লুকানোর কী আছে?” তাপসীকে ট্রোল করা হচ্ছে দেখে তাঁর ভক্তরা অভিনেত্রীর সমর্থনে সাফাই দিয়ে লিখেছেন, “কেন যে কিছু মানুষের মনে হচ্ছে তাপসীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, জানি না। তিনি রিলায়েন্সের প্রযোজিত ছবিতে কাজ করেছেন। আমার ধারণা তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তিনি নিজের ইচ্ছেতেই বিয়েবাড়িতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”