‘গঙ্গারাম’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা অভিষেক বসু এবং সুরভী মল্লিক। এই মুহূর্তে অভিষেক অভিনয় করছেন ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকে এবং সুরভীকে দেখা যাচ্ছে ‘হর গৌরী পাইস হোটেল’-এ। অভিনেতা কোনওদিনও খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেননি। বরং করেছেন দেশনায়ক নেতাজির চরিত্রে অভিনয়। অন্যদিকে সুরভী একের পর এক ‘ভ্যাম্প’ (খলনায়িকা)-এর চরিত্রই করে চলেছেন। যদিও বা ‘গঙ্গারাম’-এ তিনি ‘গুড গার্ল’ই ছিলেন। ‘গঙ্গারাম’ শেষ হওয়ার পর সুরভীর সঙ্গে আর কাজ করেননি অভিষেক। স্ক্রিনে অন্য নায়িকাকে রোম্যান্স করেছেন যদিও। প্রেমিককে অন্য নায়িকার সঙ্গে রোম্যান্স করতে দেখে কতখানি জেলাস, অর্থাৎ হিংসা করেন তাঁর প্রেমিকা। TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন সেই নায়ক।
সম্প্রতি ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকের সেটে হাজির হয়েছিল TV9 বাংলা। দক্ষিণ কলকাতার এক দুর্দান্ত স্টুডিয়োতে চলে সেই সিরিয়ালের শুটিং। হাজির হতেই অভিষেকের দেখা পাওয়া গেল ফ্লোরে। মাস্টার শট দেওয়ার আগে বারবার ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন সিন। সংলাপ বলতে গিয়ে নিজের মতো কিছু বাক্য তাতে ঢোকাচ্ছিলেন। অভিষেকের চরিত্রের নাম রোহিত। নায়িকা ফুলকির স্বামী সে। ফুলকি বক্সার এবং সে রোহিতকে ডিভোর্স দিতে চায়। তা জেনে মাথা গোলমাল হয়ে যায় রোহিতের। অভিনয়ের মধ্যে সেই গভীরতাকে ধরার চেষ্টা করছিলেন অভিষেক। মাস্টার শট এবং ক্লোজ়আপ হয়ে যাওয়ার পর নায়ক বেরিয়ে এলেন সেট থেকে। সোজা চলে এলেন আড্ডা দিতে। বলেই ফেললেন, শটের মাঝে গল্প করাটা তাঁর কাছে কতখানি রিলিফ। তখনই TV9 বাংলা জানতে চায়, অভিষেককে পর্দায় রোম্যান্স করতে দেখে তাঁর বাস্তব জীবনের প্রেমিকার হিংসা হয় কি না।
প্রশ্নটা মনে ধরে অভিষেকের। তিনি বলতে শুরু করেন, “সুরভী তো আসলে অভিনেত্রী। তাই ও ব্যাপারগুলো বোঝে। ও আমার সঙ্গে অভিনয় করেছে। ‘গঙ্গারাম’-এ আমার বিপরীতে কাস্ট করা হয়েছিল ওকে। রোম্যান্টিক সিন আমার ওর সঙ্গেও ছিল। ফলে সেগুলো ও বোঝে। তাই কখনওই অসুবিধা হয় না আমাদের। তা ছাড়া, কোন নায়িকার সঙ্গে কী রোম্যান্স করলাম পর্দায়, সেটা আমি ওকে রোজ এসে বলে দিই। রোহিত আর ফুলকির রসায়ন সম্পর্কেও ওর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়। নায়িকার দিকে আমি কীভাবে তাকাই সেটা নিয়েও আমার প্রেমিকার সঙ্গে আলোচনা হয়।”