‘আমরা তো অনেক আগেই…’, মহুয়া মৈত্রর বিয়ে নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী দোলন রায়

অভিনেত্রী দোলন রায় বহু যুগ আগে থেকেই অভিনেতা দীপঙ্কর দে-র সঙ্গে সহবাস করেন। ২০২০ সালে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন। মহুয়া মৈত্র বিয়ে নিয়ে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁদের সময়ে কী অনেক বেশি কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল?

আমরা তো অনেক আগেই..., মহুয়া মৈত্রর বিয়ে নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী দোলন রায়

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Jun 05, 2025 | 6:00 PM

শিরোনামে আবার সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে এবার সংসদের বিতর্কে নয়, ‘বিয়ের’ ছবি ঘিরে চর্চার তুঙ্গে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ছবি। হালকা সাদা-গোলাপি শাড়ি পরে প্রাক্তন বিজেডি সাংসদ পিনাকী মিশ্রের হাতে হাত রেখে হাঁটছেন মহুয়া। শোনা যাচ্ছে, বিদেশে এক গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে সেরে ফেলেছেন মহুয়া মৈত্র। তবে মহুয়া সেই ছবির সত্যতা স্বীকার করলেন না। যদিও এই খবরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে টলি পাড়ার অন্দরমহলে।

অভিনেত্রী দোলন রায় বহু যুগ আগে থেকেই অভিনেতা দীপঙ্কর দে-র সঙ্গে সহবাস করেন। ২০২০ সালে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন। মহুয়া মৈত্র বিয়ে নিয়ে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁদের সময়ে কী অনেক বেশি কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল? যা আজ প্রায় ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরে দোলন বলেন, “মহুয়া মৈত্র বিয়ে করেছেন, তাঁকে শুভেচ্ছা।”  এরপর তিনি যোগ করেন, ”দেখ আমরা হালে, ২০২০ সালে বিয়ে করি। আমরা তো অনেক আগে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। এখন সবাই দেখছি সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, তবে আমাদের সময়ে আমি কিছু কিছু কথা শুনতে পেতাম, যেটাকে এখন বলা হয় ট্রোল। তবে আমার ব্যক্তিগত জীবনে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। এখন সমাজের মন পরিবর্তন হয়েছে, তা ভাল। আমার সময় এটা ঘটনা নাকি দুর্ঘটনা বলতে পারব না। তবে এটাকেই আমার ভাগ্য বলে ধরে নিয়েছি। এখন দেখছি বিয়ের নির্দিষ্ট কোনও বয়েস নেই। যে যখন মনে করছেন বিয়ে করছেন, সমাজের চাপের কাছে নত না হয়ে নিজের জীবন যত্ন করে সাজাচ্ছেন, এটা ভাল। ”

তিনি আরও বলেন, ”তবে হিন্দু ধর্মে চারটে আশ্রম আছে। এখন যদি সবাই বাণপ্রস্থে এসে বিবাহ করেন, তাহলে তো সমস্যা হতেই পারে। নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হতে পারে। কারণ প্রকৃতির নিয়মে তো বিয়ের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে, বাচ্চা হওয়ারও সময় আছে বলে শুনতে পাই, তবে যদি কেউ মনে করেন, যে এতে তাঁদের প্রয়োজন নেই, তাহলে তো সমস্যাই নেই। যে কোনও বিষয়েরই ভাল-মন্দ দিক রয়েছে। এবার এটা ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে। তবে আমরা অনেক আগেই এই বিষয়টায় ডিসিশন নিয়েছিলাম, তাই এখন যদি এটা ট্রেন্ড হয়, সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে  সমাজ এগোলো না পিছল সেটা এখনই বলা মুশকিল।”