TV9 বাংলায় অভিনেত্রী গার্গী রায় চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার। কেরিয়ার থেকে জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন এদিন নায়িকা। সিনেমার আলোচনার মাঝেই উঠে এল সমাজে নারী পুরুষের সম্পর্কের রসায়ন। গার্গী সোজাসুজি জানান, সমাজ হঠাৎ করে বদলায় না। পরিবারের গণ্ডি থেকে বৃহত্তর গণ্ডিতে গিয়ে মহিলাদের কাজ করতে হয়। আইটি সেক্টরে কাঁধে কাঁধ রেখে পুরুষ ও মহিলাদের কাজ করতে দেখে আন্দাজ করা যাবে না গ্রাম বা শহরের কোথায় কী হচ্ছে মহিলাদের সঙ্গে। আসলে সকলে ইনসিকিওর। প্রত্যেক স্তরেই রয়েছে।
গার্গী রায় চৌধুরীর জানান, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে ভালবাসেন তিনি। কাজের ফাঁকে ওটাই আনন্দের। ইন্ডাস্ট্রির মিটু তিনি কখনও ফেস করেছেন? বা শুনেছেন? অভিনেত্রী বলেন, “মিটু বহুদিন ধরে রয়েছে, ঘরের কোণায় কোণায়। গ্ল্যামার জগত বলে আলোচনা বেশি হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কখনও সেইভাবে ফেস করিনি। তবে সমস্যা আছে। আমি বিষয়টা অনুভব করতে পেরে এতোটাই স্বাভাবিক করে নিয়েছি, যে সে নিজেই পরে লজ্জিত হয়েছে। অনেকের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটে। তাঁরা নিজেরা না বললেও অন্যের মুখে শুনেছি। যাঁদের সঙ্গে হয়েছে, তাঁদের যন্ত্রণাটা বুঝতে পারি। একটা কথা বলতে পারি, আমার বন্ধুরা এই রকম খারাপ কাজ করেছে শুনলে আমার খারাপ লাগে। ”
ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলের নানা জল্পনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “আমি সারপ্রাইজ হই না। তবে সমাজের অনেককে দেখে অবাক হই। যেমন ‘হামি’ ছবিতে লাল্টুর ইংরেজি শুনে অবাক হয়েছিল। সমাজের সকলকে দেখেই অভিনয় শিখি।”
গার্গী রায় চৌধুরীকে কম ছবি করতে দেখা যায় কেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বছরে দুটো ছবি করি তবে ভাল কন্টেন্টের ছবি করি, আসলে সিনেমা ছাড়াও বহুশকাজের সঙ্গে নিজেকে ব্যস্ত রাখি। আগামীতে নাটক করার পরিকল্পনা করছি।”
কোনও ছবি করে কখনও আফসোস হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, “মহানন্দা ছবি নিয়ে অনেক আশা ছিল, তবে সেই যায় গায় ছবিটা পৌঁছতে পারেনি। আসলে আমি খুব প্রশংসিত হয়েছি, পুরষ্কার পেয়েছি, তবে সিনেমাটা সেইভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছয়নি। পরে টিভিতে অনেকে দেখেছেন। আসলে ছবি সেইভাবে দর্শকদের কাছে না পৌঁছলে আমার অভিনয়ও দেখতে পাবে না। “