সোহা আলি খান পতৌদি: ‘মা’ আমাদের সকলের ভীষণ কাছের একজন মানুষ। আমি এখন আরও ভাল করে বুঝতে পারি, কারণ আমি নিজে একজন মা। বুঝতে পারি যে মায়ের ভালবাসায় কোনও শর্ত নেই, নিখাদ এক ভালবাসা। আমাকে বড় করে তুলতে যে কত ত্যাগ তাঁকে করতে হয়েছে। কত কঠিন সিদ্ধান্তই না তাঁকে নিতে হয়েছে, কারণ তিনি তখনও কাজ করছিলেন। আমি ভাগ্যবান যে আমি মাকে আমার মা হিসেবে পেয়েছি। মা সবার থেকে একেবারে আলাদা, তিনি বোঝদার, উদারনীতিতে বিশ্বাস করেন কিন্তু নিজের ভিতকে শক্ত করে ধরে রেখেছেন। সবসময় কিছু না কিছু জানতে চাইছেন, মানে ভীষণ কিউরিয়াস। ভীষণ ইমোশনাল আবার প্র্যাক্টিকালও। এক দারুণ কমপ্লেক্স কন্ট্রাডিকশনের চরিত্র কিন্তু নিজের কাছে তিনি ভীষণ পরিস্কার। মা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। উদহারণ দিয়ে আমাকে বুঝিয়েছেন নিজের মনের কথা শুনে কাজ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। একটি কর্মজীবন এবং পারিবারিক জীবনে কীভাবে সাফল্য পেতে পারি তাও মায়ের কাছ থেকে শেখা। তিনি শিখিয়েছেন প্রশ্ন করতে হবে, এবং উত্তর দিতেও হবে। একজন উৎসাহী ছাত্রের মতো জীবনের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। এবং আমিও মায়ের চলার পথেই হাঁটছি।
আমরা প্রতিবছর তোমার জন্মদিন একসঙ্গে উদযাপন করি কিন্তু এই বছর আমাদের আলাদা রেখেছে। আমাদের যেদিনই দেখা হবে, আমরা সে সব মূহুর্ত উদযাপন করব যা আমরা মিস করেছি। আমাদের এতটা ভালবাসার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই।