অদিতি-দেবরাজের দাম্পত্যের সত্যিটা জানেন! আলাদা হয়েও কীভাবে হল বিয়ে?
Aditi Munshi: দেবরাজ চক্রবর্তী ও অদিতি মুন্সী--- একজন কাউন্সিলর, অন্যজন বিধায়ক হলেও তাঁর প্রথম পরিচয় সুগায়িকা। পেশাগত দিক দিয়ে দু'জনেই আলাদা। তবে ওই যে বলে 'অপোজিট অ্যাট্রাক্টস'। গত বছরের শেষেই চক্রবর্তী পরিবারের অন্দরে হানা দিয়েছিল সিবিআই।
দেবরাজ চক্রবর্তী ও অদিতি মুন্সী--- একজন কাউন্সিলর, অন্যজন বিধায়ক হলেও তাঁর প্রথম পরিচয় সুগায়িকা। পেশাগত দিক দিয়ে দু'জনেই আলাদা। তবে ওই যে বলে 'অপোজিট অ্যাট্রাক্টস'। গত বছরের শেষেই চক্রবর্তী পরিবারের অন্দরে হানা দিয়েছিল সিবিআই।
সে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। বাড়িতে তিন ঘণ্টার তল্লাশি থেকে শুরু করে অদিতির স্টুডিয়োতে তল্লাশি...হয়েছিল সব। তবে আপাতত সেই বিষয় খানিক ঠাণ্ডা। স্বামী দেবরাজের হাত ধরেই অদিতির রাজনৈতিক জগতের সঙ্গে সরাসরি যোগ।
আর তার আগে? দুই ভিন্ন পেশার মানুষের পরিচয় হল কী করে? কীভাবেই হল প্রেম। টিভিনাইন বাংলার এই প্রতিবেদনে রইল তাঁদের দাম্পত্যের নানা অজানা কাহিনী।
২০১৮ সালে অদিতির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দেবরাজের। দেবরাজ থাকেন জ্যাংড়া এলাকায়। ওদিকে অদিতি থাকতেন বাগুইহাটিতে। দু'টির দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। বিয়ের আগে দু'জনে দেখা হয়েছেন বহুবার। কিন্তু প্রেম?
জানা যায়, প্রেম ছিল না দু'জনের। দুই পেশাতে দু'জনেই ছিলেন প্রতিষ্ঠিত। বাড়ি থেকে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় দু'জনের। আর বিয়ের পরেই জমজমাট রোম্যান্স। অদিতিকে রাজনৈতিক জগতের সঙ্গে যোগ করাও দেবরাজের দীর্ঘমেয়াদি ভাবনা বলেই মনে করেন অনেকেই।
যুব তৃণমূল নেতা হিসেবে কেরিয়ার শুরু হয় দেবরাজের পরে রাজারহাট-গোপালপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দুর আপ্তসহায়ক হিসাবেও কাজ করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে পুরনির্বাচনে টিকিট চেয়েও পাননি।
২০১৫তে একই ঘটনা ঘটায় অভিমানে কংগ্রেসের হাত ধরেছিলেন দেবরাজ। কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন ও যেতেন। তবে কংগ্রেস কাউন্সিলর কিছুদিনের মধ্যেই আবারও 'ঘরে' অর্থাৎ তৃণমূলে ফিরে এসেছিলেন। এই মুহূর্তে জেলার তিনি দাপুটে নেতা।
অন্যদিকে অদিতির শুরু রিয়ালিটি শো'র মঞ্চ থেকেই। তাঁর ভক্তিমূলক গান ও মিষ্টি হাসির ভক্ত কম নয়। ২০২১ সালে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন অদিতি। এই মুহূর্তে তিনি ওই কেন্দ্রের বিধায়ক।