ধর্মেন্দ্র নেই, কোন আফসোস নিয়ে বেঁচে রয়েছেন স্ত্রী হেমা?

বেশ কয়েকদিন পরে সোশাল মিডিয়ায় ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে নিজের আবেগ ধরেছিলেন কলমে। হেমার লেখনিতে উঠে এসেছিল তাঁদের প্রেমের কথা। ভরসার কথা। সেই ভরসাইকেই হারিয়েছেন হেমা। তবে শুধুই ভালবাসার মানুষ হারানো নয়, বরং তাঁর থেকে বড় হয়ে উঠেছে একটা আপসোস। যা কিনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না হেমা।

ধর্মেন্দ্র নেই, কোন আফসোস নিয়ে বেঁচে রয়েছেন স্ত্রী হেমা?

|

Dec 01, 2025 | 5:19 PM

ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা, মৃত্য়ু সব নিয়েই প্রথমে একেবারে চুপ করে ছিলেন হেমা মালিনী। তবে বিধ্বস্ত ছিলেন অন্তর থেকে। সেই মন ভাঙার আওয়াজ চোখে-মুখে ফুটে উঠেছিল তাঁর। ২৪ নভেম্বর যখন সবাইকে কাঁদিয়ে দূর দেশে রওনা দিলেন ধর্মেন্দ্র। তখন ডুকরে উঠেছিলেন। বেশ কয়েকদিন পরে সোশাল মিডিয়ায় ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে নিজের আবেগ ধরেছিলেন কলমে। হেমার লেখনিতে উঠে এসেছিল তাঁদের প্রেমের কথা। ভরসার কথা। সেই ভরসাইকেই হারিয়েছেন হেমা। তবে শুধুই ভালবাসার মানুষ হারানো নয়, বরং তাঁর থেকে বড় হয়ে উঠেছে একটা আপসোস। যা কিনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না হেমা।

সম্প্রতি হেমার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পরিচালক হামাদ আল রেয়ামি। হেমার সঙ্গে দেখা করার পর পরিচালক বলেন, হেমা একেবারেই ভাল নেই। একেবারেই ভেঙে পড়েছে। সারাদিন ধর্মেন্দ্রর স্মৃতিই আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। অঝোরে কাঁদছেন। বার বার বলছেন, ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোকে ফিরে পেতে চাই।

পরিচালক হামাদই জানালেন, অভিনয়ের পাশাপাশি ধর্মেন্দ্র খুবই ভাল কবি ছিলেন। একটি ডায়ারিতে নিজের খেয়ালে লিখে চলতেন। হেমা নাকি সেই কবিতার খাতা বই হিসেবে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধর্মেন্দ্র তা প্রকাশ করতে দেননি। উল্টে বলতেন, এখনও অনেক কিছু লেখার রয়েছে। এখনই শেষ করলে হবে না। তবে কবিতা শেষ হওয়ার আগেই ধর্মেন্দ্রের জীবন শেষ হয়ে যায়। আর এটাই সবচেয়ে বড় আপসোস হেমা মালিনীর।

সারাজীবন ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবেই থেকে গেলেন হেমা। যাঁকে ভালবেসে, সমাজকে তোয়াক্কা না করে বিয়ে করেছিলেন ড্রিমগার্ল, সেই মানুষটি বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই আলাদা থেকেছেন। কিন্তু দুপক্ষের ভালবাসা কমেনি। ধর্মেন্দ্র হারিয়ে হেমা যেন, বার বার সেই শূন্যতাকে অনুভব করছেন। আর তাই তো সোশাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে, প্রথমেই লিখলেন, আমি আমার সব হারালাম। আমার সব কিছু যেন শেষ হয়ে গেল।

হেমা লিখলেন, তিনি ভাল স্বামী, আমার দুই কন্যা এষা ও অহনার ভাল বাবা ছিলেন। আমার বন্ধু ও জীবনের পথ প্রর্দশক ছিলেন। ভাল ও খারাপ দুটো সময়েই তাঁকে পাশে পেয়েছি। বিরাট মাপের অভিনেতার পাশাপাশি বিশাল মনের মানুষ ছিলেন। ওর খালি স্থান পূরণ করা খুব কঠিন। ওর চলে যাওয়াটা আমার জীবনের খুব বড় ক্ষতি।