দ্বিতীয় স্বামীর কাছে শেফালি হাজার চেয়েও পাননি সেই সুখ! অপূর্ণই রয়ে গেল তাঁর শেষ ইচ্ছা…

জানা গিয়েছে, শেফালির একটি ইচ্ছা ছিল। বহুদিন ধরেই তা জমিয়ে রেখেছিলেন মনের অন্দরে। প্রথম বিয়েটা তো টেকেনি তাঁর। তাই ভেবেছিলেন দ্বিতীয় বিয়ে থেকে সেই সুখটা পাবেন তিনি।

দ্বিতীয় স্বামীর কাছে  শেফালি হাজার চেয়েও পাননি সেই সুখ! অপূর্ণই রয়ে গেল তাঁর শেষ ইচ্ছা...

|

Jun 28, 2025 | 7:48 PM

মুম্বইয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল বলিউড অভিনেত্রী তথা কাঁটা লাগা গার্ল শেফালি জরিওয়ালার। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত নানা মানুষ। কেউ এখনও মানতেই পারছেন না, সেই দুষ্টুমিষ্টি মেয়েটি আজ নেই। চোখের জল থামছে না শেফালির মা এবং স্বামী পরাগের।

জানা গিয়েছে, শেফালির একটি ইচ্ছা ছিল। বহুদিন ধরেই তা জমিয়ে রেখেছিলেন মনের অন্দরে। প্রথম বিয়েটা তো টেকেনি তাঁর! তাই ভেবেছিলেন দ্বিতীয় বিয়ে থেকে সেই সুখটা পাবেন। কিন্তু নিয়তির খেলা, সেটাও হল না। কপালে ছিলই না তাঁর ইচ্ছাপূরণ। সেই ইচ্ছাকে সঙ্গে নিয়েই না ফেরার দেশে চলে গেলেন শেফালি।

দ্বিতীয় স্বামী পরাগকে বহুবার বলেছিলেন একটা সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য। কেননা, চরম মানসিক অবসাদে থেকে সন্তানধারণ করতে চাননি শেফালি। তাঁর খুব শখ ছিল একটি মেয়ে সন্তানের মা হওয়ার। তাই একটি কন্যা দত্তক নিতে চেয়েছিলেন শেফালি। কিন্তু শেফালির এমন সিদ্ধান্তে বাধ সাধেন তাঁর স্বামী পরাগ। পরে অবশ্য রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু নানা আইনি জটিলতায় দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া পিছিয়েই যায়। শেষমেশ, মৃত্যু এল শেফালির কাছে। শেষ ইচ্ছাকে সঙ্গে নিয়েই পৃথিবীর মায়াত্যাগ করলেন তিনি। পরাগের আপসোস, আরও আগে যদি শেফালির সিদ্ধান্তে হ্যাঁ বলতেন!

২০০৪ সালে পঞ্জাবি গায়ক হরমিত সিংকে বিয়ে করেন শেফালি। কিন্তু বিয়ের একমাস না কাটতেই শেফালির উপর দৈহিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন হরমিত। নিত্য অত্যাচারের ফলে চরম মানসিক অবসাদে ডুবে যান শেফালি। ২০০৯ সালে হরমিতকে ডিভোর্স দেন।

ঠিক সেই সময়ই শেফালির জীবনে আসেন ব্যবসায়ী পরাগ ত্যাগী। পরাগের ছোঁয়ায় নতুন জীবন পান শেফালি। ফের প্রেম আসে তাঁর মনে। ২০১৫ সালে পরাগকে বিয়েও করেন। তথ্য বলছে, অবসাদ থেকে বেরতে শেফালিকে খুবই সাহায্য করেছিলেন পরাগ। তাঁদের সংসার ছিল বেশ সুখের। এতসঙ্গে ঘুরতেন, জিম করতেন। তাঁদের সুখী সংসারের ঝলক অনুরাগীরা মাঝে মধ্যেই পেয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। তবে নিয়তির খেলা, সুখের আলো দেখেও, বেশিদিন তা ভোগ করতে পারলেন না শেফালি। পরাগকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যে মেয়েটি এক সময়ে পুরুষের মনে ঝড় তুলেছিল, সেই মেয়েটির প্রাণ অকালেই ঝরে গেল।

শেষযাত্রায় শেফালি।