
একশো বছরে পা দিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ম্যাটিনি আউডল উত্তম কুমার। একশো বছর পার করেও, তিনিই মহানায়ক। তাঁর এক হাসিতে আজও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সিনেপর্দা। অনুরাগীদের কাছে তিনি আজও জীবন্ত। এই কিংবদন্তি অভিনেতার জন্মদিনে তাঁর অনুরাগীরা, সহকর্মীরা পালন করলেও, উত্তম কিন্তু নিজে এই দিনটা একেবারেই এড়িয়ে যেতেন। বরং ৩ সেপ্টেম্বরের বদলে তিনি নিজের বার্থডে সেলিব্রেট করতেন ২৭ সেপ্টেম্বর! এর নেপথ্যে অবশ্য় একটা কারণ ছিল। আর কারণটাও বেশ অন্যরকম।
বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক। ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। হ্য়াঁ, জন্মের পর মা-বাবা এই নামই দিয়েছিলেন। কিন্তু বিধাতা তো তাঁর ললাটে লিখেছিলেন উত্তম হয়ে ওঠার গাথা। তাই সিনেমার দুনিয়ায় পা দিয়ে অরুণ হলেন, উত্তম। এরপরের ঘটনা তো ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল ইতিহাস।
জানা যায়, বরাবরই ৩ সেপ্টেম্বর মহানায়কের জন্মদিনে, মহানায়কের বাড়িতে অনুরাগীরা ভিড় জমাতেন নানা উপহার নিয়ে। বাড়ির বারান্দা থেকে দাঁড়িয়ে উত্তম অনুরাগীদের থেকে শুভেচ্ছাও গ্রহণ করতেন। কিন্তু বাড়িতে জন্মদিনের কোনও উৎসব হত না।
আসলে, ৩ সেপ্টেম্বর উত্তমের জন্মদিন হলেও, তাঁর ঠিক ৪ দিন পর অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর উত্তমপুত্র গৌতমের জন্মদিন। আর ২৭ সেপ্টেম্বর উত্তমের স্ত্রী গৌরীদেবীর জন্মদিন। উত্তমই এক নতুন নিয়ম বানান। স্ত্রীয়ের জন্মদিন ২৭ সেপ্টেম্বরই নিজের এবং ছেলের জন্মদিন পালন করতেন উত্তম। গোটা ইন্ডাস্ট্রি আসত বার্থডে পার্টিতে। অনেক রাত পর্যন্ত চলত জলসা। এমনকী, মুম্বই থেকেও বার্থডে সেলিব্রেশনে আসতেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, আর ডি বর্মনরা। শোনা যায় একবার কিশোর কুমারও এসেছিলেন উত্তমের নিমন্ত্রণে। একসঙ্গে তাঁরা গানও গেয়েছিলেন।