AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জুবিনকে খুন করা হয়েছে! বিস্ফোরক দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ষড়যন্ত্রে তত্ত্বে জোর দিয়ে বলেন, ‘খুন হয়েছেন জুবিন গর্গ।’ এবার অসমের বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাবের সময়ে বিরোধী শিবির জুবিন গর্গ প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে তখনও হিমন্ত বিশ্বশর্মা জোর দিয়ে বলেন, “এটা অপরাধমূলক যড়যন্ত্রের আশঙ্কা নয়, বরং সোজাসাপটাভাবে বলতে হলে, খুনই হয়েছেন জুবিন।”

জুবিনকে খুন করা হয়েছে! বিস্ফোরক দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার
Zubin Garg
| Updated on: Nov 25, 2025 | 8:10 PM
Share

দুর্ঘটনায় প্রাণ যায়নি জুবিন গর্গের! তাঁকে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে! হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই দাব করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

তা ঠিক কী ঘটল?

সম্প্রতি অসম বিধানসভায় বিরোধীপক্ষ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে অসমের কর্মসংস্থান, অর্থনীতি, মানবকল্যাণ। সেই অধিবেশন উঠে এল জুবিন গর্গের কথাও। ঠিক তখনই হিমন্তের মুখে শোনা যায় এই কথা। হিমন্তের এই দাবি শুনে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা অসম রাজ্যে।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগে নভেম্বর মাসের প্রথম দিকেও সাংবাদিকদের তিনি জানিয়ে ছিলেন, এমনই কথা। এবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাবের সময়ে বিরোধী শিবির জুবিন গর্গ প্রসঙ্গ ,তুললে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, আগের মতোই জোর দিয়ে বলেন, “এটা অপরাধমূলক যড়যন্ত্রের আশঙ্কা নয়, বরং সোজাসাপটাভাবে বলতে হলে, খুনই হয়েছেন জুবিন।”

প্রসঙ্গত, ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েই প্রাণ হারান জুবিন। অন্তত, প্রাথমিক তদন্ত এমনটাই বলছে। তবে এরপর থেকেই নানা সময়ে নানা তথ্য প্রকাশ্যে আসার ফলে রহস্য তৈরি হয় জুবিনের মৃত্যু ঘিরে।

নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ষড়যন্ত্রে তত্ত্বে জোর দিয়ে বলেন, ‘খুন হয়েছেন জুবিন গর্গ।’ এবার অসমের বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাবের সময়ে বিরোধী শিবির জুবিন গর্গ প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে তখনও হিমন্ত বিশ্বশর্মা জোর দিয়ে বলেন, “এটা অপরাধমূলক যড়যন্ত্রের আশঙ্কা নয়, বরং সোজাসাপটাভাবে বলতে হলে, খুনই হয়েছেন জুবিন।”

মেঘালয়ের তুরায় জন্ম হয় জুবিনের। তিন বছর বয়স থেকেই সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ শুরু করেন জুবিন। মায়ের কাছেই তাঁর প্রথম গান শেখা। পরে ১৯৯২ সালে পেশাগতভাবে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। অহমিয়া সিনেমার পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও প্রচুর গান গেয়েছেন জুবিন। সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘মন মানে না’, ‘পিয়া রে’ তাঁর জনপ্রিয় গান। বলিউডে প্রীতমের হাত ধরে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির ‘ইয়া আলি’ গান হইচই ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। বহুবার নানা কারণে বিতর্কেও জড়িয়েছেন জুবিন। নেশাগ্রস্ত হয়ে মঞ্চে গান গাওয়ার কারণে বহুবার বিপাকেও পড়েছিলেন গায়ক। দারুণ শিল্পী হয়েও অনেকেই মনে করতেন জুবিনের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তাঁকে ঠেলে দিচ্ছিল অন্ধকারে।