‘স্ত্রীকে দেখে লোকে বলত আমার মেয়ে,’ দ্বিতীয় স্ত্রী জয়শ্রী কত ছোট ভরত কলের চেয়ে?

Sneha Sengupta |

Feb 27, 2024 | 8:43 AM

Bharat Kaul: ভরত কলের চেয়ে জয়শ্রী অনেকটাই ছোট। তাঁদের মধ্যে বছরের বয়সের ফারাক রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরত ছবি শেয়ার করতেন জয়শ্রীর সঙ্গে। সেই সুখের দাম্পত্যের ছবিতে ধেয়ে আসত কটাক্ষের বাণ। তাতে বলা হত, এক্কেবারে তো বাবা আর মেয়ে। স্ত্রীকে তাঁর কন্যার আসনে বসানো হচ্ছে। এই নিয়ে TV9 বাংলাকে কী বলেছেন ভরত কল?

স্ত্রীকে দেখে লোকে বলত আমার মেয়ে, দ্বিতীয় স্ত্রী জয়শ্রী কত ছোট ভরত কলের চেয়ে?
ভরত-জয়শ্রী

Follow Us

নিজের জীবনকে খোলা পাতা হিসেবে তুলে ধরেছেন টালিগঞ্জের সিনিয়র অভিনেতা ভরত কল। কাশ্মীর থেকে অনেককাল আগেই তাঁর অবাঙালি পরিবার কলকাতায় চলে এসেছিল। কলকাতাই তারপর থেকে হয়ে ওঠে কলদের ঘরবাড়ি। সেই পরিবারের প্রতিভাবান এবং সুদর্শন পুত্র ভরত কল লেখাপড়া করতে-করতেই অভিনয় শুরু করেন বাংলা ছবিতে। সম্পূর্ণ অবাঙালি ভরত বাংলা ভাষাকে রপ্ত করেন দারুণ সুন্দরভাবে। অনেক বাঙালির চেয়েই ভাল বাংলা বলতে পারেন তিনি। একটা সময় বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন ভরত। মূলত খলনায়কের চরিত্রেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। পরবর্তীতে নিয়মিত অভিনয় করছেন বাংলা ধারাবাহিকে।

ভরতের জীবনে প্রেম এসেছে বহুবার। তিনি ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী অনুশ্রী দাসকে। ভরতের সেই বিয়ে ভেঙে যায় ২০০৩ সালে। তারপর থেকে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ভরত। কিন্তু সেই ভালবাসাগুলো বিয়েতে পরিণত হয়নি একটাও। ২০১৫ সালে নিজের থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট অভিনেত্রী জয়শ্রী মুখোপাধ্য়ায়কে বিয়ে করেন ভরত। তাঁদের এক কন্যা সন্তানও আছে। জয়শ্রীর সঙ্গেই সুখে সংসার করছেন ভরত। তাঁকে জীবনের স্তম্ভ বলেন অভিনেতা। জয়শ্রীও কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারটিকে নিজের করে নিয়েছেন। সঠিক অর্থেই ভরতের অর্ধাঙ্গিনী তিনি। ভরতকে ক্যানসারজয়ী হতেও মানসিক শক্তি জুগিয়েছিলেন এই জয়শ্রীই। কিন্তু জয়শ্রীকে বিয়ে করে তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল ভরতকে। কেন জানেন? কারণ ছিল এই বয়সের ফারাক।

ভরত কলের চেয়ে জয়শ্রী অনেকটাই ছোট। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ১৮ বছরের বয়সের ফারাক। ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরত ছবি শেয়ার করতেন জয়শ্রীর সঙ্গে। সেই সুখের দাম্পত্যের ছবিতে ধেয়ে আসত কটাক্ষের বাণ। TV9 বাংলাকে ভরত দুঃখ করে বলেছেন, “আমাকে আর জয়শ্রীকে ঘিরে নানা ধরনের অশালীন মন্তব্য করতে দেখেছি মানুষকে। আমাকে এবং জয়শ্রীকে দেখে অনেকে বাবা-মায়ের আখ্যাও দিয়েছেন। বলেছেন, জয়শ্রীকে নাকি আমার কন্যার মতো। প্রথম-প্রথম খুবই খারাপ লাগত। কিন্তু পরবর্তীকালে আমি বিষয়টাকে তোয়াক্কাই করতাম না। আসলে দেখলাম রিয়্যাক্ট করাই ভুল। আমি এটাই বলতে চাই, ট্রোলড হলে রিয়্যাক্ট করতে নেই।”

সম্প্রতি নিজের চেয়ে বয়সে ২৭ বছরের ছোট শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করার জন্য এবং তৃতীয়বার বিয়ে করার জন্য ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে ভরত বলেছেন, “ওদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, দয়া করে রিয়্যাক্ট করবেন না আপনারা। লোকে যাই বলুক না কেন, শ্রীময়ী এবং কাঞ্চন আপনারা চুপ থাকুন। প্রতিক্রিয়া দেবেন না কোনও…”

Next Article