‘বাবা আমি এই লোকটাকে ভালবাসি’, কথাটা বলার পরই রায় পরিবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। নিজের বাবাকে কথাটি বলেছিলেন অভিনেত্রী দোলন রায়। যাঁকে ভালবাসার কথাটি সাহস করে বলতে পেরেছিলেন, তিনি বাংলা ছবির জগতের এক প্রতিভাবান অভিনেতা। তাঁর নাম দীপঙ্কর দে। দোলনের বাবার প্রায় সমবয়সি তিনি। অভিনেত্রীর মায়ের চেয়ে বয়সে ছোট খানিকটা। বাপের বয়সি এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন দোলন। দীপঙ্কর এবং দোলনের বয়সের ব্যবধান ২৬ বছরের। কীভাবে কাছাকাছি এসেছিলেন দোলন-দীপঙ্কর, জানেন সে কথা?
স্বামী দীপঙ্করের সঙ্গে তাঁর আলাপের কথা খোলাখুলি বলেছিলেন দোলন। বিদেশে নাটক করতে গিয়েছিলেন দোলন-দীপঙ্কর। সে সময় দীপঙ্করকে একেবারেই ভাল মতো চিনতেন না দোলন। তিনি নামকরা অভিনেতা। সপ্তাহান্তে একবার একটি শো বাতিল হল। অর্থাৎ, শনিবার- রবিবার। ১৫ দিনের একটা ফাঁকা সময় পেলেন দুই শিল্পী। দোলন আবার কাউকেই সেভাবে চিনতেন না। একা গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন ১৫টা দিন একাকী কাটাবেন। সেই থিয়েটার ট্রিপে অভিনেত্রী দূর থেকে দেখেছিলেন, দীপঙ্কর নারী পরিবেষ্টিত হয়ে বসে তাঁদের গান শোনাচ্ছেন। ঠিক যেভাবে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় মেয়েদের মোহিত করতেন তিনি।
দীপঙ্করের সঙ্গে দোলনের খোলাখুলি কথা হয় সেই ট্রিপেই। একে-অপরকে চেনাজানা শুরু হয় তখন থেকেই। দীপঙ্করের মেধা, তাঁর অভিনয়–সবটাই মুগ্ধ করে তরুণ দোলনকে। একইভাবে দোলনকে মনের মত মনে হতে শুরু করে দীপঙ্করেরও।
ওই ট্রিপের পর থেকেই সম্পর্ক শুরু এই দুই অসমবয়সি তারকার। দীর্ঘদিন লিভ টুগেদার করার পর ২০২১ সালে বিয়ে করেছেন দোলন এবং দীপঙ্কর। দীপঙ্করের আগেও একটি বিয়ে ছিল। এক অ্য়াংলো ইন্ডিয়ান মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তুই কন্যার পিতা দীপঙ্কর। বড় কন্যা (গত বছর প্রয়াণ ঘটেছে তাঁর) কোনওদিনই দোলনকে বাবার স্ত্রী হিসেবে মানতে পারেননি। কিন্তু প্রায় সমবয়সি ছোট মেয়ে দোলনকে প্রায় নিজের বন্ধুই ভাবেন। TV9 বাংলাকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে দোলন প্রথম ব্যক্ত করেছিলেন, দীপঙ্করের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কোনওদিনই তাঁর মনোমালিন্য ছিল না। বলেছিলেন, “আমি ওদের সংসার ভাঙিনি। তাই আমার সঙ্গে কোনও তিক্ত সম্পর্ক নেই দীপঙ্করের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর। তিনি আমাকে ঘৃণা করেন না।”