AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘লাল শাড়ি পরে একটি ভিডিয়ো করে পাঠাও’, রাতারাতি শ্রুতির জীবন যায় পাল্টে

Shruti Das: তিনি প্রতিবাদ করেছেন বারবার। এমনকী থানায় গিয়েও নালিশ জানিয়েছিলেন। তাঁকে দেখে আরও অনেক মেয়ে সাহস পেয়ে এগিয়ে এসেছেন সামনে। তিনি কাটোয়া, তথা বাংলার গর্ব।

'লাল শাড়ি পরে একটি ভিডিয়ো করে পাঠাও', রাতারাতি শ্রুতির জীবন যায় পাল্টে
| Updated on: Jul 07, 2024 | 5:27 PM
Share

শ্রুতি দাস কাটোয়ার মেয়ে। তিনি বেশকিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন মুখ্য় চরিত্রে। তাঁর প্রথম অভিনীত ধারাবাহিকের নাম ‘ত্রিনয়নী’। সেখানে নয়নের চরিত্রে অভিনয় করে সকলের বাহবা কুড়িয়েছিলেন শ্রুতি। তারপর ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে নোয়ার চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। দারুণ নাচেন অভিনেত্রী। যদিও তাঁর গায়ের রং নিয়ে নানা জন কটাক্ষ করেন কেরিয়ারের শুরু থেকেই। কিন্তু শ্রুতি চুপ থাকার পাত্রী নন। তিনি প্রতিবাদ করেছেন বারবার। এমনকী থানায় গিয়েও নালিশ জানিয়েছিলেন। তাঁকে দেখে আরও অনেক মেয়ে সাহস পেয়ে এগিয়ে এসেছেন সামনে। তিনি কাটোয়া, তথা বাংলার গর্ব।

যদিও কেরিয়ারের শুরুটা মোটেও এমন ছিল না। বাবার কষ্ট দেখেছিলেন তিনি, পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন, চেয়েছিলেন স্বপ্নপূরণ করতে। তবে লড়াইটা মোটেও সহজ ছিল না। সম্প্রতি জোশ টক-এ এসে নিজের সেই কঠিন সময়ের কথা শেয়ার করেন শ্রুতি। গায়ের রং থেকে লুক, একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। গিয়েছিলেন অডিশন দিতে, তবে খুব একটা লাভ হয়নি। শুনতে হয়েছিল তাঁকে নাকি সামনে এক ও ছবিতে আরেক দেখতে। ফিরে গিয়েছিলেন নিরাশ হয়েই। এরপর আসে সেই ফোন। শ্রুতিকে বলা হয়, লাল শাড়ি পরে একটি ভিডিয়ো করে পাঠাতে। তিনি তাই করেন। পরের দিনই ডাক পান ত্রিনয়নী থেকে। সেখানে থেকেই শুরু জীবনের অপর অধ্যায়। খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি মনের মানুষকে।

তাঁর নাম সকলেই জানেন। তিনি স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। শ্রুতির প্রথম অভিনীত ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’ স্বর্ণেন্দুই পরিচালনা করেছিলেন। এবং সেই শুটিং থেকেই সম্পর্ক তৈরি হয় অভিনেত্রী-পরিচালকের। শ্রুতিই প্রথম প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন নিজের থেকে বয়সে অনেকটা বড়, প্রায় ১৪ বছরের বড় ‘স্বর্ণদা’কে। শ্রুতির মনের কথা জানতে পেরে স্বর্ণেন্দু বলেছিলেন, অভিনেত্রীর ইনফ্যাচুয়েশন হয়েছে। অর্থাৎ, কিছুক্ষণের ভাল লাগা। যে ভাল লাগা পরবর্তীকালে ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। আর সত্যি, বয়সে কীই বা যায় আসে। মনের মিল, প্রকৃত ভালবাসা, কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করে না।