ধুম ২, বক্স অফিসে সফল ছবি হলেও এই ছবি ঐশ্বর্য রাইয়ের জীবনের সমীকরণ নাকি রাতারাতি পাল্টে দিয়েছিল। কারণ একটা চুমু। শোনা যায় এই ছবিতে অভিনয়ের পর বেজায় সমালোচিত হতে হয়েছিল নায়িকাকে। এর আগে কখনও তাঁকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখা যায়নি। সেই প্রথম, ঠোঁটে ঠোঁট ঐশ্বর্যর, তাও আবার গ্রীকগডের। অর্থাৎ বলিউডের হটস্টার হৃত্বিক রোশনের। জানেন এই দৃশ্য শুটের আগে কী শর্ত চেপেছিল হৃত্বিকের ওপর? এক সাক্ষাৎকারে চুমু বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করতে, হৃত্বিক বলেছিলেন, “আমি এই প্রসঙ্গে শুধু বলতে পারি, আমার স্ত্রী আমায় শর্ত দিয়েছিলেন, এটা যেন বিশ্বের সেরা চুমু হয়।”
অনেকখানি ওজন কমিয়ে ‘ধুম টু’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। সেই ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছিল। একদিকে তাঁর পরিশ্রম যেমন সমাদৃত হয়েছিল, অন্যদিকে সমস্যাতেও পড়তে হয়েছিল বচ্চন বধূকে। এবং তাঁকে সমস্যায় ফেলেছিল একটি চুম্বন দৃশ্য। ‘ধুম টু’ ছবিতে হৃত্বিক রোশনকে লিপলক (ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দৃশ্য) করতে হয়েছিল ঐশ্বর্যকে। এবং সেই জন্যই আইনি চিঠি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সেই আইনি চিঠি এসেছিল ঐশ্বর্যর অনুরাগীর থেকেই। তাতে লেখা ছিল, “আপনি একজন কিংবদন্তি। অন্যান্য মেয়েদের কাছে আপনি একজন নিদর্শন। আপনার জীবনধারা দেখে তাঁরা অনেককিছু শেখে। ফলে এই ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করলে, তাঁরা আপনার থেকে কী শিখবে?”
এরপর থেকেই নাকি পর্দায় কোনও ধরনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তে অভিনয় করাতে রাজি করানো যায়নি ঐশ্বর্যকে। ‘ধুম টু’ ছবিতে অভিনয়ের পর থেকে চুম্বনের দৃশ্যেও দেখা যায়নি তাঁকে। যদিও আইনি চিঠি পাওয়ার পর ঐশ্বর্য বলেছিলেন, “অভিনেতাকে অভিনয় করতে হয়। এই চুম্বন ছিল অভিনয়ের অংশ। তা ছাড়া, সকলের সামনে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত তৈরি করা ভারতীয় সভ্যতার অংশ নয়।”