
হানিমুনে পাহাড় নাকি সমুদ্র, তা নিয়ে তো নতুন দম্পতির মধ্য়ে নানা প্ল্যানিং। কেউ দেশ, কেউ বিদেশ। হ্যাঁ, হানিমুন বিষয়টা এমনই। বিয়ের পর প্রিয় মানুষের সঙ্গে প্রথম ট্রিপ। একটু বেশি স্পেশাল হতেই তো হবে। কিন্তু সেই ট্রিপটাই যদি হয় জনমানব শূন্য, নিঝুম কোনও অজানা গ্রামে তাহলে! হ্য়াঁ, ঠিক এমনটি ঘটেছিল জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তীর সঙ্গে।
ব্য়াপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। ২০২০ সালে নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে বাগদান সারেন ইমন। তারপর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সই বিয়ে। গান, বাজনাকে সঙ্গে নিয়ে ইমন-নীলাঞ্জনের সুখের সংসার। কিন্তু ইমনের কথায়, স্বামী নীলাঞ্জন তাঁকে রাখেন কড়া শাসনে। এমনকী, ঠিক সময় গানের রেওয়াজ করতে না বসলেও, বকা দেন নীলাঞ্জন। একদিকে ইমন যেমন সদা চঞ্চল, নীলাঞ্জন বরং একটু ধীর-স্থির, কম কথা বলেন। তাঁদের সম্পর্ক যেন একেবারে অপোজিট অ্য়াট্রাকের জ্বলন্ত উদাহরণ।
একবার দিদি নম্বর ওয়ান রিয়্য়ালিটি শোয়ে এসে সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হানিমুনের এক মজার কথা শেয়ার করেন ইমন। নীলাঞ্জনের কারণে নাকি হানিমুনের মাঝপথেই কলকাতায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন গায়িকা।
তা ঠিক কী ঘটেছিল?
নীলাঞ্জনের সঙ্গে হানিমুনে একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে গিয়েছিলেন ইমন। পাহাড়ি গ্রামটি প্রায় জনমানব শূন্য, নিঝুম। সেই গ্রামে পা রাখতেই ইমন রীতিমতো ধমকি দিয়েছিলেন নীলাঞ্জনকে। স্বামীকে সোজা জানিয়ে ছিলেন, এখানে তাঁর পক্ষে থাকা একেবারে অসম্ভব। এখান থেকে চলে না গেলে, তিনি একাই ফ্লাইট ধরে কলকাতায় ফিরবেন! ইমনের মুখে এমন কথা শুনে তো রচনা একেবারে হেসে কুপোকাত। তবে এসবের মাঝে নীলাঞ্জন যে কতটা কেয়ারিং তা বলতেও ভোলেননি ইমন।