ভাইয়ের বিয়েতে গিয়েও অবসাদে ছিলেন ইরা খান, ইনস্টাগ্রামে নিজেই জানালেন আমির-কন্যা

Sohini chakrabarty |

Feb 10, 2021 | 12:10 PM

মানসিক ভাবে যে প্রতিদিন ইরাকে সাংঘাতিক একটা লড়াই করতে হচ্ছে সেটা বোঝা গিয়েছে তাঁর প্রতিটি কথায়।

ভাইয়ের বিয়েতে গিয়েও অবসাদে ছিলেন ইরা খান, ইনস্টাগ্রামে নিজেই জানালেন আমির-কন্যা
ইরা এও জানিয়েছেন যে, প্রতিদিন বাড়ি ফিরেই প্রচুর কান্নাকাটি করছেন তিনি।

Follow Us

সদ্যই ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে আমির খানের কন্যা ইরা খানের ছবি। তুতো ভাইয়ের বিয়েতে আলিবাগ গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ছবি পোস্ট করেছিলেন আমির-কন্যা। বেশ হাসিখুশি লাগছিল তাঁকে। কিন্তু এর পিছনে যে যন্ত্রণা লুকিয়ে রয়েছে তা বোধহয় আন্দাজ করতে পারেননি অনেকেই।

গত বছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে ইরা ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন, তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত। ভিডিয়ো শেয়ার করে ইরা বলেছিলেন, চার বছর ধরে ক্লিনিকাল ডিপ্রেশনে ভুগেছেন তিনি। ফের একবার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন ইরা। নিজের বর্তমান অবস্থার আপডেট দিতে গিয়ে আমির-কন্যা বলেছেন, “আমি ঠিক আছি, কিন্তু আমি খুব কাঁদছি।”

সদ্যই ইনস্টাগ্রামে নতুন একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন ইরা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “এটা কোনও ইতিবাচক ভিডিয়ো নয়, আবার নেতিবাচক ভিডিয়োও নয়।” ভিডিয়োতে ইরা বলেছেন, প্রতিদিনই নিজের ফ্যানদের জন্য ভিডিয়ো পোস্ট করতে চান তিনি। অবসাদের সঙ্গে যুঝে নিয়ে কেমন ভাবে জীবন কাটাচ্ছেন তিনি সেটা সকলকে বোঝাতে চান। কিন্তু তাঁর নতুন চাকরিতে অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। তাই মেন্টাল হেলথের আপডেট দেওয়ার ব্যাপারে নিয়মিত ভাবে ভিডিয়ো পোস্ট করতে পারছেন না তিনি। সেই সঙ্গে ইরা এও জানিয়েছেন যে, প্রতিদিন বাড়ি ফিরেই প্রচুর কান্নাকাটি করছেন তিনি।

তুতো ভাই জায়ান খানের বিয়ের প্রসঙ্গেও ইরা বলেছেন, “অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সব ছবিতে আমায় হাসতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু আমার ভিতরটা জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছিল। যদিও এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার সময়ও আমার ছিল না। তাই আমি প্রচুর কাজ করেছি। অফিস গিয়েছি। বাড়ি ফিরে কেঁদেছি। পরের দিন উঠে আবার কাজে গিয়েছি।”

এখানেই শেষ নয়। মানসিক ভাবে যে প্রতিদিন ইরাকে সাংঘাতিক একটা লড়াই করতে হচ্ছে সেটা বোঝা গিয়েছে তাঁর প্রতিটি কথায়। ইরা বলেছেন, “বিয়েবাড়িতে গিয়ে আমি সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিলাম। আনন্দ করতে চেয়েছিলাম। আলাদা হয়ে থাকতে চাইনি। কিন্তু আমি প্রচুর ঘুমিয়েছি। তাই খারাপ লাগছিল। যেমন ভাবে সবকিছুতে থেকে আনন্দ করতে চেয়েছিলাম, তেমনটা করতে পারিনি।”

Next Article