‘আমি যদি মনে করি তোমাকে…’, কাঞ্চন জোর করতেই ডিভোর্সের হুমকি শ্রীময়ীর!
Kanchan-Sreemoyee: কী এমন করেছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক? সদ্য পালিত হয়েছে দোল উৎসব। শ্বশুরবাড়িতে চুটিয়ে উৎসব পালন করেছেন শ্রীময়ী। হয়েছে পুজো, রান্নাবান্না আর আবির দিয়ে রঙ খেলা।
এই তো সদ্য বিয়ে হয়েছে তাঁদের। সেই বিয়ে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। কাঞ্চন মল্লিকের বিয়ে-বিচ্ছেদ বারেবারেই এসেছে আলোচনায়। এবার সেই কাঞ্চনকেই বিচ্ছেদের হুমকি তাঁর সদ্যবিবাহিতা স্ত্রীর। কিন্তু কেন? কী এমন করেছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক? সদ্য পালিত হয়েছে দোল উৎসব। শ্বশুরবাড়িতে চুটিয়ে উৎসব পালন করেছেন শ্রীময়ী। হয়েছে পুজো, রান্নাবান্না আর আবির দিয়ে রঙ খেলা। সিটি সিনেমা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন জানান, তাঁদের বাড়িতে একদা ধুমধাম করে দোল পালন হত। স্ট্যাম্পের কালি থেকে কার্বন পেপার জলে গুলে সকলকে রাঙাতেন কাঞ্চনের মা। ওই ‘খেলবো হোলি রঙ দেবো না’– এই পন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন না তিনি।
অন্যদিকে রঙ খেলায় বেজায় আপত্তি শ্রীময়ী। আবিরে তিনি আছেনম কিন্তু রঙে নেই। তাঁর রঙে অ্যালার্জি, শুধু আবির খেলেন তিনি। সে কথা সামনে আসতেই কাঞ্চন শ্রীময়ীকে বলেন, “আমি যদি মনে করি তোমাকে রঙ মাখাব, তাহলে মাখাব। মারামারি হবে কিন্তু মাখাব।” স্বামীর মুখে এ কথা শুনেই কপট রাগ তাঁর। ক্যামেরার সামনেই বলেন, “‘তাহলে দেখবে কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজের ডিভোর্স হয়ে গেল…, এই রঙ মাখানোর কারণে।” নববধূর রাগে অবশ্য মন গলে কাঞ্চনের। স্বীকার করে নেন সত্যিই অ্যালার্জি রয়েছে স্ত্রীর।
সেই মতোই এবার দোলে মূলত খাওয়া দাওয়া করেই কেটেছে শ্রীময়ীর। শুঁটকি মাছ, পাঠার মাংস, ঠান্ডাই থেকে শুরু করে লুচি আলুরদম– ছিল এলাহি আয়োজন। ট্রোলিং ব্যতিরেকে আপাতত জমিয়ে তাঁরা উপভোগ করছেন তাঁদের বিবাহিত জীবন। ভালবেসে ভাল আছেন দু’জনে।