
দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে একটা বছর। শ্রীময়ী চট্টোরাজ ও কাঞ্চন মল্লিক এখন চুটিয়ে সংসার করছেন। বর্তমানে তাঁদের তিনজনের সংসার। জুটির কোলে এসেছে কৃষভি। ভালবেসে একে অন্যের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তাঁরা। আজ তাঁদের বিয়ের জন্মদিন। আর সেই বিশেষ দিনে এক দীর্ঘ পোস্ট করে সকলের নজর কাড়লেন শ্রীময়ী চট্টোরাজ।
কাঞ্চনকে বিবাহবার্ষিকীতে লিখলেন খোলা চিঠি। শ্রীময়ীর কথায়, “দেখতে দেখতে একটা বছর পার হয়ে গেল, আমিতো এখনও বিশ্বাসই করতে পারছি না যে সেই দিনে ক্লাস নাইনে পড়ি আমি তোমার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, তারপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব, গভীরতা, আর বিশ্বাস নিয়ে বন্ধুত্বের হাত ধরতে ধরতে কখন যে চার হাত এক হয়ে গেল আমি নিজেও বুঝতে পারিনি, আমি কিনা এক সময় বলতাম আমি বিয়ে করবো না কোনদিনও, সেই মেয়ে একজন সন্তানের মা হয়ে গেলাম,,, আমি ঈশ্বরকে কি বলে ধন্যবাদ দেব জানি না, তোমায় ধন্যবাদ দিলেও কম বলা হবে ঈশ্বরকে, তাই আমি ঈশ্বরকে ভালবাসি,আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। তুমি ছিলে এবং আছো বলে আমার জীবনটা এত সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়েছো, তুমি ছিলে বলেই আমি কাঞ্চনের মতো মানুষকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি, আমার সন্তানের বাবা হিসেবে পেয়েছি, অনেক শ্রদ্ধা ,সম্মান ও ভালবাসা কাঞ্চন তোমাকে, তুমি আমাকে যা সম্মান, ভালবাসা দিয়েছো, হয়তো আমারটা কম হয়ে যাবে, আমি তোমাকে বিয়ে না করলে জানতেই পারতাম না বুঝতেও পারতাম না, এত সুন্দরভাবেও জীবন কাটানো যায়, এত সুন্দরভাবেও জীবনকে যাপন করা যায়। এত সুন্দরভাবে মাতৃত্বের আনন্দ উপভোগ করা যায়, তোমার ভালবাসায় আমি আজ পরিপূর্ণ। শুধু একটাই কথা বলব আমার বিবাহ বার্ষিকীর বেস্ট গিফ্টটা তুমি আমায় উপহার হিসেবে দিয়ে দিয়েছো। পৃথিবীর যত দামি দামি উপহার আছে তাঁদের মূল্য হার মেনে যাবে আমার কাছে, কারণ আমি আমার জীবনের সবচেয়ে দামি উপহারটা তোমার কাছে থেকে পেয়েছি সেটা হল আমাদের কৃষভি। যে কিনা আমার কাছে প্লাটিনামের থেকেও বেশি দামি। তোমাদের ভালবাসায় আমি এভাবেই বাঁচতে চাই।”
অন্যদিকে পিছিয়ে থাকলেন না কাঞ্চন মল্লিকও। তিনিও শ্রীময়ীকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিলেন। লিখলেন, “একটা ছেলের অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে নিয়ে, তাঁর জীবনটাকে সঠিক করে, তাঁকে দিয়েও সংসার করানো যায়, তাকেও সংসারি বানানো যায়, এটা তোমার জন্য সম্ভব শ্রীময়ী, তুমি আমার জীবনে না এলে আমি জানতাম না যে এভাবে পরিবারকে নিয়ে বাঁচা যায়, এইভাবেও নিজের একটা জগৎ তৈরি করা যায়,আমি শুধু একটা বছরের জন্য নয়, আমি সারা জীবনের জন্য তোমাকে বলতে চাই শুভ বিবাহ বার্ষিকী।”