স্নেহা সেনগুপ্ত
অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়। গ্রামের ছেলে বড় হয়েছেন কলকাতা শহরে। পড়েছেন কলকাতার সেন্ট লরেন্স স্কুলে। ক্লাস টেন পর্যন্ত সেখানে পড়াশোনা করার পর সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন খরাজ। সেই সময় কলেজ থেকেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা ছিল এই রাজ্যে। সেই সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ থেকেই উচ্চশিক্ষা লাভ করেছিলেন এই দুর্দান্ত প্রতিভাবান অভিনেতা এবং বহুমুখী শিল্পী। আজ উচ্চ মাধ্যমিকের রেজ়াল্ট বেরিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজ়াল্ট নিয়ে কথা বললেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। বললেন এ সব নম্বর-টম্বর কিছু না। ভিতরে জিনিস না থাকলে সবটাই ফাঁপা। ৯৯% নম্বরের কোনও মূল্য নেই এই দুনিয়ায়।
কেমন রেজ়াল্ট করেছিলেন খরাজ নিজে? নিজের রেজ়াল্ট প্রথম TV9 বাংলার কাছে জানালেন অভিনেতা। বললেন, “আমার উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় ভীষণ খারাপ একটা সময় দিয়ে যাচ্ছিলাম। পরীক্ষা দেওয়ার সময় আমার মা অসম্ভব অসুস্থ ছিলেন। প্রত্যেকদিন হলে ঢুকতাম যখন মায়ের অসুস্থ মুখখানি চোখের সামনে ভেসে উঠত। ভীষণ কষ্ট পেতাম। সেই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম গোল্লা পাব পরীক্ষায়। একেবারেই পাশ করতে পারব না। তারপর কোনওক্রমে সেকেন্ড ডিভিশনে পাশ করেছিলাম।”
পরবর্তীকালে অভিনেতা হিসেবে দারুণ সফল হয়েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। মনে করেন, পরীক্ষার নম্বর জীবন তৈরি করে না। নিজস্ব জ্ঞান না থাকলে কখনওই সাফল্য পাওয়া যায় না। তাই নিজস্ব পড়াশোনাটাকেই প্রাধান্য দেন খরাজ। বলেছেন, “আমার ছেলে বিহুও সেন্ট লরেন্স স্কুল থেকে পাশ করেছিলেন। ওকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলাম। ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিল আমার ছেলে। তারপর বলেছিল কলেজে সে কিছুই শিখতে পারেনি। যা পাঠ্যপুস্তকে পড়েছিল, তার সঙ্গে পেশাদার জীবনের কোনও মিলই নেই সেই অর্থে। সেই কারণে আর স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনাটাই করলেন না আমার ছেলে।” রাজ চক্রবর্তীর ‘চিরদিনই তুমি যে আমার পার্ট টু’ ছবিতে ভিলেনের চরিত্র দেখা গিয়েছিল খরাজের পুত্র বিহুকে। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন মুম্বাইয়ে। সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমের সঙ্গে কাজ করছেন। গান-বাজনা নিয়েই মেতে রয়েছেন বিহু।