প্রকাশ্যে কিম কার্দাশিয়ান ও কেনি ওয়েস্টের ডিভোর্স পেপার, কেন বিচ্ছেদ হচ্ছে দুই তারকার?

দুই তারকার বিচ্ছেদের তারিখ এখনও জানা যায়নি। তবে কিম-কেনির ডিভোর্সের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তুমুল জল্পনা চলছে।

প্রকাশ্যে কিম কার্দাশিয়ান ও কেনি ওয়েস্টের ডিভোর্স পেপার, কেন বিচ্ছেদ হচ্ছে দুই তারকার?
কিম-কেনি।
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2021 | 2:06 PM

সাত বছরের দাম্পত্যে চিড় ধরেছে। বিচ্ছেদের মামলা চলছে কিম কার্দাশিয়ান এবং কেনি ওয়েস্টের। কিন্তু কেন একবারে বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন কিম-কেনি? এই প্রশ্ন ঘুরছে অনেকেরই মনে। বিশেষ করে যখন থেকে জানা গিয়েছে যে, চার সন্তানের দেখভালের স্বার্থে আদালতের কাছে যৌথ কাস্টডি’র আবেদন জানিয়েছেন কিম, তারপর থেকে অনেকের মনে উঠেছে একটা প্রশ্ন, ‘কী এমন হল যে একেবারে ডিভোর্স!’।

প্রাথমিক ভাবে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, র‍্যাপার স্বামী কেনির সঙ্গে ঘনঘন মতের অমিল হচ্ছিল মার্কিনী তারকা কিম কার্দাশিয়ানের। কোনওভাবেই সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল মতবিরোধ। আর তাই তৃতীয়বারের জন্য ডিভোর্সের মামলা করেছেন কিম কার্দাশিয়ান। যদিও দুই তারকার বিচ্ছেদের তারিখ এখনও জানা যায়নি। তবে কিম-কেনির ডিভোর্সের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তুমুল জল্পনা চলছে।

সাম্প্রতিক সূত্র মারফত জানা গয়েছে, কিম-কেনির ডিভোর্স পেপারে বিচ্ছেদের কারণ স্বরূপ লেখা হয়েছে ‘Irreconcilable differences’। অর্থাৎ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে বিস্তর মতের ফারাক দেখা গিয়েছে। যার ফলে তাঁদের পক্ষে আর একসঙ্গে দাম্পত্যের সম্পর্কে থাকা সম্ভব নয়। ব্রিটেনের ‘দ্য সান’ পত্রিকা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন কিম। তাঁর পাঠানো নোটিস রিসিভ বা গ্রহণ করেছেন কেনি। তাই ডিভোর্স পেপারে কেনিকে রেসপন্ড্যান্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে।

বিয়ের আগে থেকেই কিমের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন কেনি। রাজকীয় ভাবে কিমকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন কেনি। বিয়ের আগেই ২০১৩ সালে প্রথম কন্যাসন্তান নর্থের জন্ম দেন কিম কার্দাশিয়ান। এর ঠিক পরের বছর ২০১৪ সালে ইতালিতে বিয়ে সারেন কিম এবং কেনি। সেই বছরই দ্বিতীয়বার সন্তান (ছেলে) সেন্টের জন্ম দেন কিম। এছাড়াও শিকাগো এবং পাম (Psalm) নামের আরও দুই সন্তান রয়েছে এই তারকা জুটির।

সুখেই চলছিল সংসার। কিন্তু কয়েকবছর আগেই তাল কাটতে শুরু করে। ২০১৮ সালে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কেনি। তিনি বলেছিলেন, ‘দাসত্ব একপ্রকার পছন্দের বিষয়’। কেনির এই মন্তব্যের পর থেকেই কিমের সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় শোনা গিয়েছিল, খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন কিম এবং কেনি।

এখানেই থামেননি কেনি। এরপর গতবছর জুলাই মাসে ফের বোমা ফাটান বিশ্ববিখ্যাত এই র‍্যাপার। মিডিয়ার সামনেই বলে বসেন নিজেদের ব্যক্তিগত কথা। কেনি বলছিলেন, নর্থের (তারকা দম্পতি প্রথম কন্যাসন্তান) জন্মের আগে তিনি এবং কিম গর্ভপাতের ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন। কেনি এতটা ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে পারেন এটা ভেবেই চমকে গিয়েছিলেন কিম কার্দাশিয়ান। তখন থেকেই সম্পর্কের টানপোড়েন আরও বেড়ে যায়। তারই সুদূরপ্রসারী পরিণতি এই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা।