‘ইন্ডাস্ট্রিতে আরও কয়েকটা দীপিকা থাকলে…’, কেন হঠাৎ এমন বললেন কঙ্কনা?

নানা সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়েছেন, অন্যান্য পেশার মতো, বিনোদন জগতেও শিফট এবং একদিন ছুটি থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। দীপিকার এমন দাবিতে দুভাগ বলিউড। কেউ কেউ এই বিষয়ে দীপিকার সঙ্গ নিয়েছেন, যদি তাঁদের সংখ্য়াটা অনেক কম। কেউ কেউ আবার সমালোচনা করছেন দীপিকাকেই। আর এবার দীপিকার ৮ ঘণ্টা শিফটের দাবিকে সমর্থন করলেন অভিনেত্রী কঙ্কনা সেনশর্মা।

ইন্ডাস্ট্রিতে আরও কয়েকটা দীপিকা থাকলে..., কেন হঠাৎ এমন বললেন কঙ্কনা?

|

Oct 25, 2025 | 5:36 PM

১২-১৪ ঘণ্টা নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে চাই আট ঘণ্টার শিফট! বেশ কয়েক মাস ধরেই এই দাবিতে অনড় বলিউডের মস্তানি দীপিকা পাড়ুকোন। এই দাবিকে সঙ্গে রেখেই দুটি দক্ষিণী ছবি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন দীপিকা। নানা সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়েছেন, অন্যান্য পেশার মতো, বিনোদন জগতেও শিফট এবং একদিন ছুটি থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। দীপিকার এমন দাবিতে দুভাগ বলিউড। কেউ কেউ এই বিষয়ে দীপিকার সঙ্গ নিয়েছেন, যদি তাঁদের সংখ্য়াটা অনেক কম। কেউ কেউ আবার সমালোচনা করছেন দীপিকাকেই। আর এবার দীপিকার ৮ ঘণ্টা শিফটের দাবিকে সমর্থন করলেন অভিনেত্রী কঙ্কনা সেনশর্মা।

দীপিকাকে নিয়ে কী বললেন কঙ্কনা?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্কনা বলেন, আমার মতে দীপিকা খুব আধুনিক চিন্তাধারার মানুষ। ওর অভিনয়ের মতো স্বচ্ছ্ব। আমিও মনে করি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে একটা নিয়ম থাকা উচিত ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা কাজ করে যাওয়াটা কোনও মতেই সুস্থ পরিবেশ হতে পারে না। অভিনেতা, অভিনেত্রীদের পাশাপাশি টেকনিশিয়নদের জন্যও একই নিয়ম হোক। সবারই পরিবার রয়েছে, নিজস্ব জীবন রয়েছে। মহিলা, পুরুষ সবার জন্য়ই একই নিয়ম হওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, বরাবরই স্পষ্টবক্তা দীপিকা। নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগতই রাখতে চান। এই কারণেই হয়তো রণবীর সিংয়ের সঙ্গে প্রেম, বিয়েকে বরাবরই গোপনে রেখেছিলেন। নিজের মেয়ে দুয়াকেও প্রকাশ্য়ে আনেননি। তবে রণবীর কাপুরের সঙ্গে ব্রেকআপের পর যখন অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন, তখন দীপিকা মনের কথা খোলাখুলি বলেছিলেন।

দীপিকার কাছে এখন স্বামী ও সংসারই প্রথম প্রায়োরিটি। সংসারের জন্য তিনি কেরিয়ারের সঙ্গেও সমঝোতা করতে পারেন, তা নানা ভাবেই বুঝিয়েছেন। আট ঘণ্টা কাজের দাবিও সেই চিন্তাভাবনাকে মাথায় রেখেই। তাঁকে ঘিরে হওয়া কটাক্ষ নিয়ে বলতে গিয়ে দীপিকা বললেন, ”আমি সবসময়ই বিবাদ, তর্ক, বিতর্ক পছন্দ করি। কেননা, আমি জানি সমাজের বিপরীতে যখন আমি কথা বলব, তখনই সমাজ থেকে প্রতিরোধ আসবে। সত্য়িটা যখন প্রকাশ্যে আনব, তখন সবাই তাঁকে ঢামাচাপা দিতে চাইবে। আর সঙ্গে আসবে নানা কটাক্ষ, অত্যাচার, নির্যাতন। তবুও আমি এসবকে পাত্তা দিই না। সত্যিকে সামনে আনার জন্য শত নির্যাতন সহ্য করতে রাজি আছি। কেননা আমি জানি, আমার অবস্থান একেবারেই সঠিক জায়গায়। সঠিক বলেই সবাই আমাকে চুপ করাতে চাইছে। ”