‘ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে, কিছুতে হাত দিস না’, কথা কানে আসতেই বিস্ফোরক লগ্নজিতার

Viral Post: সমাজের একশ্রেণি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে গেলেও ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছবিটা কোথাও গিয়ে একই থেকে গিয়েছে। এবার সেই সত্যি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন গায়িকা লগ্নজিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করলেন গায়িকা। 

ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে, কিছুতে হাত দিস না, কথা কানে আসতেই বিস্ফোরক লগ্নজিতার

Mar 11, 2025 | 6:29 PM

কথায় বলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাকি সমাজ বদলায়। সত্যি কি তাই! নারী-পুরুষ সমান সমান কি আজও হয়ে উঠতে পেরেছে? মানুষের শিক্ষা যতই এগিয়ে যাক না কেন সমাজের স্বরূপটা যেন কোথাও গিয়ে একই থেকে গিয়েছে। বছরটা ২০২৫। অনেক বেশি আধুনিক হয়ে উঠছে সমাজ। পাল্টাচ্ছে টেকনোলজি। আর মেয়েদের অবস্থান? সমাজের একশ্রেণি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে গেলেও ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছবিটা কোথাও গিয়ে একই থেকে গিয়েছে। এবার সেই সত্যি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন গায়িকা লগ্নজিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করলেন গায়িকা।

সমাজের কোন ছবি তুলে ধরলেন তিনি? লিখলেন…

‘ভেরি হ্যাপি ওমেন্স ডে চলে গেছে জানি। ৩ টে ঘটনা যা শেষ ২-৩ দিনে প্রত্যক্ষ করলাম শেয়ার করে নিচ্ছি মাত্র। প্রথমত আমার এক বন্ধু আর তার বর লাঞ্চে বসবে। লাঞ্চে বসার আগে শাশুড়ি ওকে বললেন শোন পেটিটা ওকে দিস। গাদাটা তোর জন্য রাখলাম। ও তো গাদা খেতে পারে না। তাতে আমার বন্ধু বলল আমিও তো গাদা খেতে পারি না। তারপরের কথপোকথন লম্বা কিন্তু সেটা জরুরি জয়। জরুরি এটুকুই। শাশুড়ির কিন্তু কোনও দোষ নেই। উনিও হয়তো যখন বিয়ে করে এসেছিলেন তখন হয়তো গাদা খেতে পারতেন না। পেটির মাছটাই খেতেন। কিন্তু বিয়ের পর বুঝেছেন যে বাকি জীবন গাদার মাছ খেতে হবে। পেটি তারাই পাবে যারা বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে পুরুষ।’

‘ আরেকটা বন্ধুর বাড়িতে এই শনিবার রক্ষা কালী পুজো ছিল। কিন্তু ওর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায়। ও নিজে এসব না মানলেও বাড়ির বড়রা মানে। তাই জানায়। সবাই এক বাক্যে বলে ওঠে তাহলে তুই আজ কিছুতে আর হাত দিস না। ঠাকুর ঘরে ঢুকিস না। এখানেও বাকিদের দোষ নেই, করেন যারা বলেছে তাদেরও ঠাকুরঘরে ঢুকতে দেওয়া হতো না। অথচ পুজোটা কালী ঠাকুরের যিনি আদ্যোপান্ত একজন মহিলা। আর সেদিন নারী দিবস ছিল। কী মজার না?’

এরপর তিনি আরও এক বাস্তব জীবনের গল্প বলেন, যেখানে প্রশ্ন করাতেও আপত্তি। অবশেষে লগ্নজিতা লেখেন, এতেও ওদের কোনও দোষ নেই। কারণ এগুলো নিয়ে তাঁরাও ভাবেননি কখনও। হল? আমি ২০২৫-এর কলকাতার কথা বলছি।