স্কুলে বিপাশাকে ডাকত ‘লেডি গুন্ডা’। বন্ধুবান্ধবদের বেশিরভাগ তাঁকে লভীষণ ভয় পেত কারণ বিপাশার কমান্ডিং পার্সোনালিটি এবং ডার্ক টোন। তবে মাঝে মাঢে গায়ের রঙ এবং অতিরিক্ত ওজনের জন্য কম টিপ্পনি শুনতে হয়নি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ছোটবেলায় কেউ তাঁকে বলেনি যে তিনি সুন্দরী।
কলকাতার এক হোটেলে বিপাশার সঙ্গে পরিচয় হয় সুপারমডেল মেহের জেসিয়ার। মেহের তাঁকে বলেন মডেলিংকে কেরিয়ার হিসেবে বাছতে। এখন সেই বিপাশা হয়ছেন একেবারে ডিভা। ২০০১ সালে বলিউড ডেবিউ (অজনবি)। আর তারপর বিক্রম ভাটের ‘রাজ’ ছবির জন্য বিপাশা পেলেন ফিল্মফেয়ার।
ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন বিপাশা। কিন্তু পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি অভিনেত্রী। পড়াশোনা না শেষ করার আক্ষেপ এখনও রয়েছে তার মধ্যে। তিনি এও মনে করতেন ডাক্তারি নিয়ে এগলে তাঁর জন্য সুবিধের হবে কারণ তিনি সুন্দর দেখতে নয়। কিন্তু দেখুন আজ ভাগ্যের পরিহাস!
বিপাশার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মানে ট্রাভেল ডায়েরিজ। বিপাশা ভীষণ ঘুরতে ভালবাসেন। তবে তিনি ভালবাসার শহর প্যরিস দেখে মুগ্ধ। বিপাশার মতে প্যারিস মানে আইডিয়াল রোমান্টিক ডেস্টিনেশন।
নিজে বেশ লম্বা হলেও বিপাশার হাইটের বয় সাংঘাতিক। হাই অল্টিটিউড থেকে নিচে তাকাতে ভয় পান বঙ্গকন্যা। ‘শিখর’ ছবির সময় হাইটের কারণে সমস্যার মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে।
বাঙালি খাবারদাবার দারুণ পছন্দ করেন বিপাশা। স্ট্রিক্ট ডায়েট প্ল্যান থাকা সত্বেও তিনি পোস্ত-ভাত পাতে থাকলে আর তিনি সমালাতে পারেন না। নিজের পোষ্যর নামও রেখেছেন পোস্ত। শুধু পোস্ত-ভাত নয়, বিরিয়ানি খেতেও পছন্দ করেন বিপাশা।
‘কর্পোরেট’ ছবির শুটিং ডেট নিয়ে সমস্যা শুরু হয় ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চনের। বিপাশার নাম উঠে আসে। এবং ছবিতে তাঁর চরিত্র ভীষণ প্রশংসা হয়।