AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হট-ফেভারিট লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেলেবরা কী করেন, কীর্তি ফাঁস করলেন মহিলা কর্মী

বলিউড সেলিব্রিটিদের অসুস্থতার খবর মানেই একটাই হাসপাতালের নাম সবার আগে উঠে আসতে দেখা যায়, আর তা হল লীলাবতী হাসপাতাল।

হট-ফেভারিট লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেলেবরা কী করেন, কীর্তি ফাঁস করলেন মহিলা কর্মী
| Updated on: May 15, 2025 | 1:12 PM
Share

বলিউডের তারকাদের গ্ল্যামারাস জীবন যেমন আলোচিত, তেমনি তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের প্রতিটা আপডেটে নজর থাকে ভক্তদের। তাঁদের সম্পর্ক, তাঁদের স্বাস্থ্য সব বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন। আর বলিউড সেলিব্রিটিদের অসুস্থতার খবর মানেই একটাই হাসপাতালের নাম সবার আগে উঠে আসতে দেখা যায়, আর তা হল লীলাবতী হাসপাতাল। সেলিব্রিটিদের সর্বাধিক বিশ্বাস জয় করেছে এই হাসপাতালই। এবার সেই হাসপাতালের ভিতর থেকেই অন্দরমহলের খবর ফাঁস।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেলিব্রিটি নিউট্রিশনিস্ট খ্যাতি রূপাণী লীলাবতী হাসপাতালে কাজ করার বেশ কিছু মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি জানান, অভিনেতা ঋষি কাপুর ছিলেন তাঁদের সবচেয়ে ‘অখুশি’ রোগী। অন্যদিকে সইফ আলি খান মিষ্টির জন্য রীতিমতো বায়না ধরতেন, আর অমিতাভ বচ্চন ছিলেন এক কথায় ‘অসাধারণ’।

খ্যাতি বলেন, “লীলাবতী একটি নিরামিষ হাসপাতাল হওয়ায় ঋষি কাপুর বেশ অখুশি ছিলেন। তিনি নিজের খাবারে কাটছাঁট একেবারেই পছন্দ করতেন না। তাঁর স্ত্রী নীতু কাপুর প্রায়ই হাসপাতাল স্টাফদের বলতেন, “ওঁকে মিষ্টি দিও না, গুলাব জামুন দিও না।” কিন্তু এই বিধিনিষেধ ঋষি কাপুর একদমই মেনে নিতে পারতেন না। খ্যাতির কথায়, “আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম ওঁকে খুশি রাখতে, কিন্তু শেষমেশ উনি বিরক্ত হয়েই হাসপাতাল ছাড়েন।”

সইফ আলি খানেরও লীলাবতীতে চিকিৎসা হয়েছিল। তখন তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়। সে সময় তিনি বারবার জানতে চাইতেন, কেন তাঁকে মিষ্টি দেওয়া হচ্ছে না। খ্যাতি বলেন, “আমি বলি, আপনি তো সবে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করিয়েছেন, তাই দিচ্ছি না। পরে ভাবলাম, স্বাস্থ্যকর কিছু দেওয়া যায় কি না। তখন আমরা কাস্টার্ড, জেলি তৈরি করে দিতাম। ওঁর মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে মেটানোর চেষ্টা করেছি স্বাস্থ্য সচেতনভাবে।”

অন্যদিকে, অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে খ্যাতির অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ। তিনি জানান, অমিতাভের মা তেজি বচ্চন হাসপাতালে ১১ মাস ভর্তি ছিলেন। কোনওদিন খাবার দেরিতে গেলে, অমিতাভ একবারও চেঁচামেচি না করে শান্তভাবে বলতেন, “বেটা, একটু চেষ্টা কর যেন সময়মতো আসে।” এরপর থেকেই খ্যাতি সিদ্ধান্ত নেন, “বচ্চন সাহেবের মায়ের খাবার আগে যাবে।” সেই মতোই নির্দেশ নিয়েছিলেন।