
সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে বাঁধা পড়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। সেই সময়ই এই প্রেম নিয়ে বলিউডে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এমনকী, শোনা গিয়েছিল সঞ্জয়ের সঙ্গে নাকি বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল মাধুরীর। তবে বিয়ে ভাগে সঞ্জয় জেলে যাওয়ার পর। সঞ্জয়ের ক্রিমিনাল রেকর্ডই মাধুরীর প্রেমের মূল অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক সেই সময়ই মা-বাবার পছন্দ করা মার্কিন ডাক্তার ডক্টর শ্রীরাম রেনেকে বিয়ে করেন মাধুরী। মাত্র ৬ মাসের আলাপ। আর কয়েক মাসের মধ্যেই মাধুরী ঠিক করে নেন, বিয়ে যদি করেন, তাহলে ডক্টর নেনেকেই করবেন। বলিউডের ধক ধক গার্ল, মার্কিন ডাক্তারের মধ্যে এমন কী দেখলেন, যাঁর জন্য রাতারাতি ডক্টর নেনের গলায় মালা দিলেন? নাকি সঞ্জয় দত্তকে ভুলতে দেশে ছেড়ে বিদেশি পাত্রই খুঁজছিলেন তিনি?
১৯৯৯ সালে ডাক্তার শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করেন মাধুরী দীক্ষিত। তাঁদের এখন দুই ছেলে। বিয়ের পরই সিনেমার পর্দা ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গিয়েছিলেন মাধুরী। বহু বছর সেখানেই কাটিয়ে ২০০৭ সালে মুম্বইয়ে ফিরলেন। আজা নচলে ছবি দিয়ে ফের বক্স অফিসে মাধুরীর কামব্য়াক। ছবিটি হিট না করলেও, প্রশংসিত হন মাধুরী। তারপর থেকেই স্বামী নেনে নিয়ে মুম্বইয়েই রয়েছে।
সম্প্রতি এক ওয়েব সিরিজের প্রচারে এসে বিয়ের ২৬ বছর পর বিয়ে এবং স্বামী নেনেকে নিয়ে মুখ খুললেন মাধুরী। মাধুরীর বলেন, আমি এমনিতেই খুব প্রেমিক মানুষ। সিনেমার জন্য নয়। ভালবাসাটাই আমার কাছে একটা ম্যাজিক। আমি ভালবাসতেই ভালবাসি। আমি একটা পাথরকেও ভালবাসতে পারি। একটা ফুল, গাছ বা এই আকাশকে। তাই প্রেম বিষয়টা বরাবরই আমার কাছে প্রথম প্রায়োরিটি।
মাধুরী আরও বলেন, শ্রীরাম জানতই না, আমি ভারতীয় সিনেমার একজন তারকা। কারণ, নেনে একেবারেই সিনেমার পোকা নন। হয়তো সেই কারণেই শ্রীরামকে আমার প্রথমে ভাল লেগেছিল। তারপর ৬ মাস ধরে ওর সঙ্গে কথা বলার পর বুঝতে পারি, হ্যাঁ, এই সেই মানুষ, যাঁর সঙ্গে আমি সারাজীবন কাটাতে পারব। আর সেই কারণেই ডাক্তার নেনেকে হ্যাঁ বলতে বেশি সময় নিতে হয়নি।