কী কারণে আরবাজকে ছাড়লেন মালাইকা? অবশেষে খান পরিবারের মুখোশ খুললেন ‘বদনাম মুন্নি’

অভিনেতা আরবাজ খানের সঙ্গে নিজের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানা এবং সেই সময়কার মানসিক লড়াই নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অকপট হলেন মালাইকা অরোরা। দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে তিনি জানালেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সমাজ তো বটেই, এমনকী, নিজের কাছের মানুষদের কাছ থেকেও চরম কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল তাঁকে।

কী কারণে আরবাজকে ছাড়লেন মালাইকা? অবশেষে খান পরিবারের মুখোশ খুললেন বদনাম মুন্নি

|

Dec 30, 2025 | 2:10 PM

ইদানিং বলিপাড়ায় বিচ্ছেদ বা নতুন করে জীবন শুরু করার বিষয়টি যতটা সহজ মনে হয়, কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। অভিনেতা আরবাজ খানের সঙ্গে নিজের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানা এবং সেই সময়কার মানসিক লড়াই নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অকপট হলেন মালাইকা অরোরা। দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে তিনি জানালেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সমাজ তো বটেই, এমনকী, নিজের কাছের মানুষদের কাছ থেকেও চরম কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল তাঁকে।

২০১৬ সালে আরবাজ খানের সঙ্গে আলাদা হওয়ার ঘোষণা দেন মালাইকা, যার আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০১৭ সালে। সেই দিনগুলোর স্মৃতি চারণ করে মালাইকা বলেন, “আমি শুধু সাধারণ মানুষের থেকেই নয়, বন্ধু-বান্ধব এমনকি পরিবারের থেকেও প্রচুর বিচার আর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলাম। সেই সময় আমার প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হতো। তবুও আমি খুশি যে আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। আমার কোনও অনুশোচনা নেই।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ভবিষ্যতে কী আছে আমি জানতাম না। কিন্তু এটুকু জানতাম যে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ওই পদক্ষেপটি জরুরি ছিল। নিজের ভালো থাকাটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মানুষ এটা বুঝতে চায় না; তারা প্রশ্ন তোলে— ‘তুমি নিজের সুখকে কীভাবে সবার আগে রাখতে পারো?’ কিন্তু আমি একা থাকতে প্রস্তুত ছিলাম। বড়জোর কী হতো? কিছুদিন কাজ পেতাম না, লোকে আড়ালে কথা বলত, এই তো!”

সমাজের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মালাইকা বলেন, একজন পুরুষ এবং একজন নারী যখন একই সিদ্ধান্ত নেন, তখন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। তাঁর কথায়, “দুর্ভাগ্যবশত, পুরুষদের ক্ষেত্রে কখনও এই প্রশ্নগুলো তোলা হয় না। সমাজ পিতৃতান্ত্রিক বলেই হয়তো এমনটা স্বাভাবিক ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু একজন নারী যদি প্রথা ভেঙে বেরিয়ে আসতে চান, তবে মুহূর্তের মধ্যে তাঁর দিকে আঙুল তোলা হয়, তাঁকে ‘আদর্শ নারী’র তকমা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি যদি সেই গণ্ডি পেরিয়ে নিজের জীবন গড়ে তোলেন এবং উদাহরণ সৃষ্টি করেন, তবে জানবেন আপনি সঠিক পথেই আছেন।”

বিবাহবিচ্ছেদ মানেই যে সম্পর্কের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে যাওয়া— এমন তত্ত্বে বিশ্বাসী নন মালাইকা। ভবিষ্যতে পুনরায় বিয়ের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, “আমি বিয়েতে বিশ্বাস করি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাকে বিয়ে করতেই হবে। যদি কখনও ভালো কিছু ঘটে তবে ঠিক আছে, কিন্তু আমি নিজে থেকে এখন কিছুই খুঁজছি না। আমি বর্তমানে খুব শান্তিতে আছি।”

জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে তিনি আরও বলেন, “আমি একঘেয়ে বা বিমুখ হয়ে যাইনি। আমি আমার জীবনকে ভালোবাসি, ভালোবাসার অনুভূতিকে ভালোবাসি। যদি ভালোবাসা আবারও আমার দরজায় কড়া নাড়ে, তবে আমি তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তবে আপাতত আমি নিজের শর্তে বাঁচতে শিখছি।” মালাইকা স্পষ্ট না বললেও, এই সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বলেই দিলেন, খান পরিবারের তিনি স্বাধীন ছিলেন না। জলাঞ্জলি দিতে হচ্ছিল নিজের ইচ্ছেকে। আর সেই কারণেই এই ডিভোর্স। কারণ, তিনি জীবনটা বাঁচতে চেয়েছেন নিজের মতো করে।