শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল আগামী এপ্রিলে। না তা হয়নি, এগিয়ে এল শুটিংয়ের তারিখ। আজ থেকে শুরু হল মানস মুকুল পাল পরিচালিত বহু প্রতীক্ষিত ছবির শুটিং। ‘দীনেশ গুপ্তর বায়োপিক’। মানস তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে ছবি পোস্ট করে শুটিং শুরুর ঘোষণা করেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে চোখে সানগ্লাস পরে পরিচালক মানস তাঁর সিনেম্যাটোগ্রাফারের সঙ্গে কথোপকথনে লিপ্ত হয়ে রয়েছেন। পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক দল কঁচিকাঁচা। মন দিয়ে দেখছে ফিল্ম ক্যামেরাটিকে।
ক্যাপশনে মানস লেখেন, ‘যাত্রা শুরু হল’। হ্যাশট্যাগে লেখেন #দিনেশগুপ্তবায়োপিক।
মানসের ছবির স্ক্রিপ্ট লেখা শেষ হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। কাস্টিংও ছিল প্রায় শেষের পথেই। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (হেমচন্দ্র ঘোষ) এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)। তবে সৌমিত্রবাবুর মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথের চরিত্রে কে অভিনয় করছেন, তা জানা যায়নি। লকডাউনের আগে সোদপুরে, সুকচর গির্জার সামনে ‘মক শুটিং’ (মহড়া)-ও হয়েছিল। তবে মানসের এই ছবির নাম এখনও ঠিক হয়নি। ছবির এডিটর অনির্বাণ মাইতি বলেছিলেন, “শীত এবং গ্রীষ্ম দুই মরশুমে হবে ছবির শুটিং। যদি এপ্রিলে শুটিং শুরু হয়, তাহলে তা শেষ হতে-হতে ডিসেম্বর-জানুয়ারি তো হবেই।”
তবে এপ্রিলে নয়, মার্চেই শুরু হল ছবির শুটিং। দীনেশ গুপ্তের বায়োপিক সম্পর্কে মানস বলেন, “কিছু চেনা মুখ থাকছেন ছবিতে। তবে বেশিরভাগই একেবারে নতুন। আপাতত তাঁদের নাম উল্লেখ করতে চাইছি না। যতটুকু বলতে পারি, তা হল মিঠুনদা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় রয়েছেন। ‘মহাগুরু’ বায়োপিকে বিনয়-বাদল-দীনেশের গুরুর চরিত্রে অভিনয় করছেন।” বড় বাজেট ছবির প্রযোজকের তালিকায় ছিল অনেকের নাম তবে কোভিড কারণে পিছু হটেছেন অনেকে। মানস বলেন, “অভিজিৎ বিশ্বাসও (‘সহজ পাঠের গপ্পো’-র প্রযোজক) ছিলেন তালিকায়। তবে প্যান্ডেমিকের দরুণ সমস্যায় পড়ে তাঁকে সরে দাঁড়াতে হয়। দু’-তিনজন প্রযোজক যোগ দিয়েছেন। দেবাশিস মণ্ডল এবং আরও কিছুজন উৎসাহ দেখিয়েছেন।”