৯ অগস্ট, কলঙ্কিত রাত। আরজি কর তিলোত্তমার নৃশংস হত্যা কাণ্ডে জ্বলছে গোটা বাংলা। পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে টলিপাড়ার অনেকেই। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায়, কেউ পথে নেমে স্লোগান তুলে সরব হয়েছেন পদে পদে। এই মিছিল, এই প্রতিবাদ থেমে থাকার নয়। সাধারণ মানুষ আজ বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন। কেউ কেউ আবার এই আন্দোলনে রাজনীতির গন্ধও পেয়েছেন। বিভিন্ন ব্যক্তিদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজনীতির বিষয়টাকেও জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে ‘আমি বলছি মানেই বিজেপি বলছে না’– স্পষ্ট করলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তবে এবার শুধু আর মৌখিক প্রতিবাদ নয়, পথেও নামছেন মহাগুরু। যদিও তিনি এখন শুধু অভিনেতা নন বিজেপি নেতাও বটে। তবে আরজি কর আন্দোলনের ক্ষেত্রে রাজনীতির রঙ লাগাতে নারাজ তিনি। অতীতেই বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই অভিনেতা বললে, “আমি এই বাংলাই দেখতে চেয়েছিলাম। এখন দেখতে পাচ্ছি, খুব আনন্দ লাগছে। এই আন্দোলনে আমরা যেন সবাই একসঙ্গে থাকি। আর আমি বলছি মানেই বিজেপি বলছে না। আমি মিঠুন চক্রবর্তী বলছি রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে এই আন্দোলনে যেন আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি। ”
এবার কবে নামছেন অভিনেতা পথে? ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার। এই ঐতিহাসিক দিনেই আমেরিকার শিকাগো শহরে বীর সন্ন্যাসী বিবেকনন্দ সারা পৃথিবীর বিবেকের জাগরন ঘটিয়েছিলেন। আজ ১৩১ বছর পরে তাঁর নিজের শহর কলকাতায় সাধারণ মানুষ বিবেকের মহা দংশনে ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে। সেই মর্মেই শিকাগো বক্তৃতার দিনে তাই সমাজের প্রবুদ্ধ মানুষেরা পথে নামছেন। শিল্পী, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, চাটার্ড একাউন্টেন্ট সহ বিদ্দ্বজ্জনেরা বিকেল সাড়ে ৪টের সময় স্বামীজির পৈতৃক বাসস্থান থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাার মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তির পাদদেশে যাবেন। আর সেই মিছিলেন হাঁটতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী বলেই খবর।