‘রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা… এমন কেন সত্যি হয় না আহা… ঠিক যেন এক গল্প হত তবে… শুনত যারা অবাক হত সবে…’– লিখেছিলেন রবিঠাকুর, ‘বীরপুরুষ’ মায়ের কাছে রেখেছিল এমনই এক আবদার। তবে বাস্তব জীবনেও ঘটে এমন ঘটনা। যা কখনও সখনও হার মানায় রূপকথাকেও। দিশানী চক্রবর্তীকে চেনেন? মিঠুন চক্রবর্তীর চোখের মণি তিনি। তিন দাদার আদরের ধন। মা যেন চোখে হারান তাঁকে। ভালবাসেন সবটা দিয়ে। তবে দিশানির জার্নি এমনটা হত না যদি না সেদিন মিঠুনের কাছে তাঁর পড়ে থাকার খবরটা এসে পৌঁছত।
বহু বছর আগের কথা। ডাস্টবিনের সামনে এক রুগ্ন শিশুকে ফেলে রেখেছিল কেউ। স্থানীয় দেখতে পান। হয় থানা পুলিশ। খবর যায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে। খবর পান মিঠুনও। হৃদয় কেঁদে ওঠে তাঁর। স্ত্রীকে নিয়ে পরদিনই চলে যান সেই সংস্থায়। স্থির করেন ওই একরত্তিকে দেবেন নতুন পরিচয়। তবে সে সব তো আর মুখের কথা নয়, দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। কিন্তু ওই যে, ভালবাসার কাছে হার মানে সবটাই। আইনি ঝামেলা মিটিয়ে ওই একরত্তিকে নিজের করে নেয় চক্রবর্তী পরিবার। তার নতুন নাম হয় দিশানী।
সেই দিশানী আজ প্রাপ্তবয়স্কা। রূপে গুণে হার মানাবেন অনেককেই। ইনস্টাগ্রামেও তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। সকলকে তাক লাগাচ্ছেন তিনি। এই মুহূর্তে বিদেশে আছেন। সেখানেই চলছে তাঁর পড়াশোনা।