
হীরালাল সেনকে বাংলা সিনেমার জনক বলা হয়। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাই তাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হল বাংলা তথা ভারতীয় ছবির নায়িকা মুনমুন সেনকে। অভিনেত্রী মুনমুন সেন রুপে যেমন ভোলান দর্শকদের, তেমনই অভিনয় ও এলিগেন্স দিয়ে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে প্রত্যেক সিনেপ্রেমীদের হৃদয় কম্পিত হত মুনমুন সেনের জাদুতে। অভিনেত্রী মুনমুন সেনের আজও অমোঘ আকর্ষণ রয়েছে। বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চেম্বার্স অফ কমার্স থেকে অভিনেত্রীকে হীরালাল সেন সম্মাননায় সম্মানিত করা হল। প্রসঙ্গত সম্পর্কে হীরালাল সেনের দূর সম্পর্কের আত্মীয়া মুনমুন সেন। এই পুরস্কার পেয়ে তিনি খুব খুশি। তবে সরকারি হীরালাল সেন পুরস্কার নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী Tv9বাংলার কাছে। তিনি বলেন, ” আমার দাদাঠাকুর হন হীরালাল সেন। তাঁর নামে যখন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার শুরু হল, ভেবেছিলাম আমাকে আমন্ত্রণ করা হবে সেই পুরস্কার দিতে। তবে সেই রকম কিছুই হল না। এটা আমায় দুঃখ দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, মুনমুন সেন সদ্য তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন। তবে কিছুদিনের মধ্যেই নিজেকে সামলে নিয়েছেন। সদ্য মু্ক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত স্বল্প দৈর্ঘের ছবি ‘সহচরী’। আগামী দিনে তাঁকে আবার ছবিতে দেখা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ”আমি যাই বলি সংবাদমাধ্যম সেটাকে ঘুরিয়ে লেখে। আমি আবার বলছি, আমার স্বামীর অসুস্থতার কারণেই আমি কোনও কাজ করছিলাম না। এখন আমি অবশ্যই কাজ করব, নিশ্চয়ই মায়ের চরিত্র করব, যদি চরিত্রটা আমার ভালোলাগে।”
মুনমুন সেন নিজের স্বকীয়তায় তাঁর মা সুচিত্রা সেনের দ্যুতির মাঝেই নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন। অনেকেই জানেন সেন পরিবার তিন প্রজন্ম ধরে বাংলা সিনেমায় রাজত্ব করছেন। সুচিত্রা সেন,মুনমুন সেন, বর্তমানে রাইমা সেন ও রিয়া সেন। তবে এখন বোঝা যাচ্ছে বাংলা সিনেমার জনক হীরালাল সেনের সময় থেকে এই পরম্পরা অটুট।