চার মাসের আমাকে পিঠে শক্ত করে বেঁধে কাজে যেতেন মা: শাবানা আজমি
আত্মজীবনী লিখেছিলেন শওকত। সেই আত্মজীবনীর রিভিউ লিখেছেন অমর্ত্য সেন। শাবানা জানান, মা এত খুশি হয়ে পড়েছিলেন যে নিজের জন্য ১৬ খানা শাড়ি কিনে ফেলেছিলেন। তিনি যোগ করেন, "আমি অবাক হয়ে মা'কে বললাম, এরকম তো আমিও কোনওদিন করিনি। মা উত্তর দিলেন, 'অমর্ত্য সেনও তোমাকে এখনও পর্যন্ত প্রশংসা করেননি।"
শওকত কাইফি, যাকে তামাম বলিউড চিনত শওকত আপা হিসেবে। একদিকে থিয়েটার কর্মী, গণনাট্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, অন্যদিকে সেলুলয়েডেও ছিল তাঁর অনায়াস যাতায়াত। মেয়ে শাবানা আজমিও সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর অভিনয় গুণে মুগ্ধ দর্শক। মা’কে নিয়েই এক সংবাদমাধ্যমে স্মৃতি চারণে শাবানা।
সাবেকি আর আধুনিকতার মেল বন্ধন ছিলেন মা, জানাচ্ছেন শাবানা। তাঁর কথায়, “আব্বা কাইফি আজমি’র সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু মায়ের সঙ্গে ভীষণভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিলাম আমি। যদিও শেষের কয় বছরে মা-ই আমার সন্তান হয়ে যান।”
View this post on Instagram
আত্মজীবনী লিখেছিলেন শওকত। সেই আত্মজীবনীর রিভিউ লিখেছেন অমর্ত্য সেন। শাবানা জানান, মা এত খুশি হয়ে পড়েছিলেন যে নিজের জন্য ১৬ খানা শাড়ি কিনে ফেলেছিলেন। তিনি যোগ করেন, “আমি অবাক হয়ে মা’কে বললাম, এরকম তো আমিও কোনওদিন করিনি। মা উত্তর দিলেন, ‘অমর্ত্য সেনও তোমাকে এখনও পর্যন্ত প্রশংসা করেননি।”
আরও পড়ুন- মা যদি সেদিন পাশে না দাঁড়াত তাহলে হয়তো এত দিনে আমিও সুশান্ত সিং রাজপুত হয়ে যেতাম: সৌরভ দাস
ওই সময় দাঁড়িয়েও শওকত ছিলেন সাবলম্বী। পৃথ্বী থিয়েটারে অভিনয় করতে যাওয়ার সময় চার মাসের শাবানাকে পিঠে বেঁধেই কাজে রওনা হতেন তিনি। ৩ বছর বয়স থেকেই মায়ের সঙ্গে সঙ্গে থিয়েটারের ট্যুরে যেতেন শাবানা। ঘুমিয়ে পড়তে ব্যাকস্টেজে। ঘুম ভাঙত গ্রিজের গন্ধ গায়ে মেখে।
২০১৯ সালে ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন ওই কিংবদন্তী শিল্পী। শোকের ছায়া নেমেছিল বলিউডে। ভেঙে পড়েছিলেন শাবানা। তিনি তো শুধু তাঁর মা ছিলেন না। ছিলেন সঙ্গী, সন্তান, ভরসার আবাসস্থল।