‘অভিনেত্রীদের মাদকের নেশা ধরাতে বাধ্য…’, সামান্থা-নাগার ডিভোর্স প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্ত্রী

Oct 03, 2024 | 12:46 PM

Naga-Samantha: সামান্থার সঙ্গে প্রয়োজনে যোগাযোগও রাখছেন তিনি। সামান্থা যখন অসুস্থ ছিলেন, খোঁজ নিয়েছিলেন নাগা। তবে কেন একদিন  পর উস্কে গেল তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনা? কারণ সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা, আর তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যেই ফুঁসছেন সকলে। 

অভিনেত্রীদের মাদকের নেশা ধরাতে বাধ্য..., সামান্থা-নাগার ডিভোর্স প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্ত্রী

Follow Us

সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম চর্চিত জুটি। যআঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর একাধিকবার নেটিজেনদের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এখন সেসব অতীত। নতুন করে সংসার পেতেছেন নাগা। অন্যদিকে সামান্থার সঙ্গে প্রয়োজনে যোগাযোগও রাখছেন তিনি। সামান্থা যখন অসুস্থ ছিলেন, খোঁজ নিয়েছিলেন নাগা। তবে কেন একদিন  পর উস্কে গেল তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনা? কারণ সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা, আর তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যেই ফুঁসছেন সকলে।

কী বলেন মন্ত্রী? 

‘সামান্থা ও নাগার বিচ্ছেদের পিছনে রয়েছে  এক রাজনৈতিক চক্রান্ত। যার পিছনে হাত ছিল তৎকালীন মন্ত্রী‌ কেটি রামা রাও-এর।মন্ত্রী সুরেখা বলেন, ‘কেটি রামা রাওয়ের জন্যে সামান্থার ডিভোর্স হয়েছে। উনি তখন মন্ত্রী ছিলেন। আর বিভিন্ন নায়িকাদের ফোনে আড়ি পাততেন। অভিনেত্রীদের হাঁড়ির খবর খুঁজে বের করতেন। তারপর শুরু হত ব্ল্যাকমেইল। অভিনেত্রীদের মাদকের নেশা ধরাতে বাধ্য করতেন একপ্রকার। যার ফলে তাঁদের ডিভোর্সও নিতে হয় শেষমেশ। একথা সবাই জানেন। সামান্থা জানেন, নাগা চৈতন্য জানেন, ওদের বাড়ির লোকও জানেন।’

বিষয়টা চোখে পড়তেই প্রতিবাদ করেন নাগা চৈতন্য। বললেন, ‘ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত কোনও মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং দুর্ভাগ্যজনক একটি সিদ্ধান্ত। অনেক চিন্তাভাবনার পর, আমি এবং আমার প্রাক্তন স্ত্রী বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম । তবে এ তা নিয়ে বিভিন্ন ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর গসিপ তৈরি হয়েছে। আমি আমার প্রাক্তন স্ত্রী এবং সেই সঙ্গে আমার পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার কারণে এই সমস্ত বিষয় নীরব থেকেছি। আজ, মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা গেরুর যে দাবি করেছেন তা কেবল মিথ্যাই নয়, এটি একেবারেই হাস্যকর এবং মিথ্যা। মহিলারা সমর্থন ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য। মিডিয়ার শিরোনামের থাকার জন্য সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্তের সুযোগ নেওয়া অতন্ত লজ্জাজনক।’

যদিও ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মন্ত্রী। সামান্থার উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল একজন নেতা কীভাবে নারীর প্রতি অবহেলা অসম্মান করছেন, তা বোঝানো। কিন্তু আপনার ভাবাবেগে আঘাত করা নয় সামান্থা। আপনি যেভাবে নিজের ক্ষমতায় এগিয়ে চলেছেন, তার আমি প্রশংসা করি। যদি আপনি বা আপনার ভক্তরা আমার কথায় আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি নিঃশর্তভাবে আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করছি। দয়া করে অন্যভাবে নেবেন না।’

 

Next Article