
আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাননি বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। এ ব্যাপারে বারংবার তাঁকে ফোন করলেনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি সাংসদের। তবে নুসরত থেমে নেই। এক পার্টির থেকে উত্তর না মিললেও তিনি পৌঁছে গেলেন অন্য এক পার্টিতে। শুধু কি তাই? পার্টিতে জমিয়ে চলল উন্মাদনা। না, আপাতত ‘দলবদলু’দের দলে নাম লেখাননি তিনি, যোগদান করেননি অন্য দলেও। পার্টি করেছেন ঠিকই, তবে তা শহরের নিশিঠেকে। উপলক্ষ পরিচালক অরিন্দম শীলের জন্মদিন। শুধু নুসরতই নন, হাজির ছিলেন যশও। সেখানেই ছবি তোলা তো বটেই, বাহারি পোজও দিলেন দু’জনে। সেই ভিডিয়ো এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। হয়েছে কটাক্ষও। একজন লিখেছেন, “ওই জন্যই টিকিট দেওয়া হয়নি আপনাকে। দেবেই বা কী করে? সময়ই যে নেই আপনার।”
কেন নুসরতকে প্রার্থী করা হল না এবারে? সন্দেশখালিতে ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে সামনে আসে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম। শোনা যায় এই শাহজাহানের বাহুবলেই ভোটে জিতে এসেছিলেন নুসরত। অভিনেত্রীকে ভোটে জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ভোটের সময় নাকি এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকত এই শাহজাহানের উপরেই। শাহজাহানকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালি উত্তাল তখন একবারের জন্যও সেখানে যাননি খোদ সাংসদ। এমনকি কেন জাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও সন্তোষজনক উত্তর দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং ধারা ভুল বলায় হয়েছিলেন সমালোচিতও।
যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “নুসরত জাহানের সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর যাওয়া দরকার ছিল।” সে কারণেই কি তৃণমূল ‘রিস্ক’ নিলেন না এবার? বাদ পড়লেন নুসরত? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা তেমনটাই। নুসরতের বদলে এবার বসিরহাটের প্রার্থী হচ্ছেন ‘ঘরের ছেলে’ নুরুল ইসলাম।