মিঠুন চক্রবর্তী, কেরিয়ারের শুরু থেকে তাঁর লড়াইটা ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিনেতা হতেই তিনি এসেছিলেন। রাজত্বও করেছেন দীর্ঘ দিন বলিউডের অন্দরমহলে। কিন্তু একটা সময় বিষয়টা মোটেও এতটা সহজ ছিল না। সেই কারণেই মিঠুন চক্রবর্তী মাত্র ৭৫ টাকা মাসিক ভাড়ায় পেইংগেস্ট থাকতেন। মিঠুন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তাঁর সেই লড়াইয়ের কথা। মিঠুন চক্রবর্তীর কথায় তাঁর থেকে তাঁর সহকারিরা বেশি ধনী, কারণ তিনি পেতেন মাত্র ৫০০০ টাকা ছবি পিছু।
কিন্তু তিনি নিজে এই পরিমাণ অর্থ উপার্যন করতেন না তখন। নিজেরটা কোনও মতে চালাতেন। তাই মজা করেই এই মন্তব্য করেছিলেন মিঠুন। মিঠুন যখন অভিনেতা, তখন তাঁকে যাঁরা মেকআপ করাতেন, তাঁর চুল যাঁরা ঠিক করে দিতেন তাঁরা প্রত্যেকেই বেশি আয় করতেন। তবে মিঠুন চক্রবর্তীকে আর পাঁচজনের মতোই কেরিয়ারের শুরু দিকে আর্থিকভাবে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে কিছু বছরের মধ্যেই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা। বলিউড থেকে টলিউড দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেননি।
দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার জেতার সময় শ্বশুরকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মিঠুনের বৌমা মাদালসা শর্মা। মাদালসার কথায়, “ওঁর জীবন নিয়ে না শেষ হওয়া বই লেখা যায়। আমার শ্বশুরমশাই একজন অত্যন্ত সফল মানুষ। ওঁকে থামানো যায় না, পরাজিত করা যায় না। উনি সবসময় কাজে আসক্ত।” এখানেই না থেমে মাদালসা আরও বলেন, “সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর ভক্ত। উনি একজন ট্রেন্ড সেটার। কোনও ভাষাতেই তাঁর ক্যারিশ্মার বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়। উনি একজন সোনা দিয়ে মোড়া মনের মানুষ।” মাদালসার সঙ্গে মিঠুনের সম্পর্ক ভীষণই ভাল। জীবনের চলার পথে মিঠুনের কাছ থেকে যে মাঝেমধ্যেই নানা উপদেশ তিনি পেয়ে থাকেন, সে কথাও জানাতে ভুললেন না মাদালসা। তিনি যোগ করেন, “উনি সবসময় বলেন, কাজই ধর্ম। জীবনে যতই সাফল্য এসে যাক না কেন, সব সময় পা মাটিতে রেখে চলা উচিৎ।”