Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Retro Story: অভাবের জেরে ‘আওয়ারা হুঁ’, ‘মেরা জুতা হ্যায় জাপানি’ গায়ক মুকেশ হাত পেতেছিলেন সব্জি বিক্রেতার কাছে

Untold Story: জল পান করে, খাবার না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল আওয়ারা হুঁ এবং মেরা জুতা হ্যায় জাপানি-এর মতো বিখ্যাত গান গেয়ে তিনি 'দ্য মুকেশ জি' হয়েছিলেন।

Retro Story: অভাবের জেরে 'আওয়ারা হুঁ', 'মেরা জুতা হ্যায় জাপানি' গায়ক মুকেশ হাত পেতেছিলেন সব্জি বিক্রেতার কাছে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 1:53 PM

স্টারদের জীবনে এমন বহু অজানা কাহিনি থাকে যা পরতে-পরতে তাঁদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। জনপ্রিয় হলেই যে অর্থভাণ্ডার ভরে থাকবে এমনটা নয়। হাজার হাজার মানুষ যাঁদের একবার শোনার জন্য দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন, তাঁদের অন্দরমহলের কাহিনিটা যে কতটা কঠিন, তা হয়তো অনেকেরই অজানাই থেকে যায়। তেমনই এক কঠিন লড়াই দিয়ে কেটেছিল বিখ্যাত গায়ক মুকেশের ব্যক্তিগত জীবন। প্রয়াত গায়ক মুকেশকে (Singer Mukesh) একবার সবজি বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছিল, যাতে তিনি তাঁর ছেলের স্কুলের মাইনে দিতে পারেন, নীতিন মুকেশ (Nitin Mukesh) সম্প্রতি এক রিয়ালিটি শো-তে (Reality Show) এসে সেই তথ্যই সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নেন।

আওয়ারা হুঁ বা মেরা জুতা হ্যায় জাপানি-এর মতো হিট গানের পরেও মুকেশ যে আর্থিক লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল, তা সকলের সামনে স্বীকার করেন তাঁর পুত্র। নীতিন মুকেশ বলেছিলেন, “জীবনে এত উত্থান-পতনের সঙ্গে আমি কাউকে লড়াই করতে দেখিনি বা সে কথা শুনিনি। তিনি জল পান করে, খাবার না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল আওয়ারা হুঁ এবং মেরা জুতা হ্যায় জাপানি-এর মতো বিখ্যাত গান গেয়ে তিনি ‘দ্য মুকেশ জি’ হয়েছিলেন এবং তারপরও ছয় থেকে সাত বছর লড়াই করেছেন অভাবের সঙ্গে।”

এদিন তিনি আরও জানান, “একটা সময় ছিল যখন তিনি আমার এবং আমার বোনের স্কুলের মাইনে দিতে পারতেন না। আমার এখনও মনে আছে, যে আমাদের বাড়ির কাছে একজন সবজি বিক্রেতা ছিলেন, যিনি বাবাকে খুব ভালোবাসতেন এবং তাঁর কণ্ঠস্বর এতই পছন্দ করেছিলেন যে তিনি কিছু টাকা ধার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এভাবেই মুকেশ জি আমাদের স্কুলের ফি শোধ করতেন। ”

তবে মুকেশ নন, সন্তানদের কানে এই কথা পৌঁছে দিয়েছিলেন মুকেশের স্ত্রী, নীতিন মুকেশ মায়ের কতা উল্লেখ করে জানান-  “ মা বলতেন ‘দেখো বাবা কেমন কঠিন সময় দিয়ে যাচ্ছেন’। এগুলি এমন স্মৃতি যা আমি কখনই ভুলব না এবং আমি প্রার্থনা করি যে আমি তাঁকে যেন অনুসরণ করতে পারি। তিনি কখনই হাল ছাড়েননি এবং সবসময় বলেছিলেন যে তিনি একজন জয়ী হিসাবে সামনে আসবেন, তিনি করেছেন”।