আর পাঁচজন ছেলের মতোই স্বপ্ন দেখে কুণাল। স্বপ্ন দেখে বিন্দিকে নিয়ে। কুণালের প্রতিবেশী এবং ভাল বন্ধু বিন্দি। নিজের ভালবাসার কথা প্রকাশ করতে পারেনি কুণাল। কিন্তু তাতে তো আর ভালবাসা মিথ্যে হয়ে যায় না। একদিন সাহস করে বলেই ফেলল বিন্দিকে। কিন্তু বিন্দির ভালবাসার মানুষ অন্য কেউ। ধীরে ধীরে কুণাল জড়িয়ে পড়ল রাজনীতিতে।
নূর আসহান। সিনেমা হলের কর্মী। লকডাউনে সিনেমা হল বন্ধ। কাজ হারিয়েছে নূর। ঘরে নিত্য অভাব। এই নূরের সঙ্গে একদিন দেখা হল কুণালের। একটি নদীর ধারে। সে নদীর নাম ‘বৈতরণী’।
কুণাল এবং নূরকে ‘বৈতরণী’র ধারে যিনি মিলিয়ে দিলেন তিনি পরিচালক দীপ মোদক। ২৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের শর্ট ফিল্ম ‘বৈতরণী’-তে দেখা হবে এই দুই চরিত্রের। দেখা হবে, আলাপ হবে, গল্প হবে। তারপর?… এই দুজনের গল্প জানার জন্য ওয়েব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘আড্ডা টাইমস’-এ চোখ রাখবে হবে দর্শককে।
২০২০-তে বিবেকানন্দ কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন দীপ। বিষয় ছিল ফিল্ম স্টাডিস। ‘বৈতরণী’ তাঁর পরিচালিত দ্বিতীয় শর্ট ফিল্ম। প্রথম শর্ট ফিল্ম ‘ইতি উড়ান’। এ ছাড়া আগে তথাগত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জি ফাইভ-এর প্রজেক্ট ‘ওয়াটার বোতল’-এ কাজ করেছেন। নিজের প্রথম ছবি প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে বললেন, “সিনেমা হল পর পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে ক্যাপিটালিজমের ভাবনা রয়েছে। বুর্জোয়াতন্ত্র কী ভাবে আমাদের উপর প্রভাব ফেলছে, সেই ভাবনা রয়েছে। একটা গল্প পুরোপুরি রাজনৈতিক প্লটের উপর। আর একটা গল্পেও রাজনীতি রয়েছে। আসলে প্রত্যেকটি মানুষ সে যতই বলুন, আমি কোনও দল করি না, আসলে প্রত্যেকেই খুব সূক্ষ্ম ভাবে হলেও রাজনৈতিক সমস্যায় জড়িয়ে রয়েছে। সেখান থেকে ক্রাইসিস। এই দুটো গল্প সমান্তরাল ভাবে চলবে।” দেবপ্রসাদ হালদার, কুণাল ভৌমিক, পম্পা ভট্টাচার্য, সুজি ভৌমিকের অভিনয়ে সমৃদ্ধ এই শর্ট ফিল্ম।
আরও পড়ুন, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর মুগ্ধার সঙ্গে ডেটিংয়ে কেন অপরাধবোধে ভুগতেন রাহুল?